প্রতীকী ছবি।
সামনাসামনি দেখা হলেও নমস্কার করেননি। সেই ‘অপরাধে’ই এক যুবকের উপর ছুরি নিয়ে চড়াও হলেন টিআরএস-এর স্থানীয় নেতা কে অর্জুন কুমার। তাতেও ক্ষান্ত হননি তিনি। পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ওই যুবকের মোটরবাইকে। পুলিশ এলেও থামানো যায়নি তাঁকে। সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পুলিশকর্মীদের উপরেই চড়াও হন তিনি।
শুক্রবার রাতে তেলঙ্গানার জুবিলি হিলসের এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসামাত্র তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ওই অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জুবিলি হিলস থানার পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল রাতে ১১টা নাগাদ ওই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় যুবক উমাকান্তকে মারধর করা, ভয় দেখানোর অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: গগৈ মামলায় অভিযোগকারিণীর অনুপস্থিতিতে শুনানি নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতিদের
রহমতনগর এলাকায় উমাকান্তের একটি পানের দোকান রয়েছে। তা ছাড়া, ড্রাইভার হিসাবেও কাজ করেন তিনি। গত কাল রাতে কাজ সেরে ফেরার পথে অর্জুন কুমারের মুখোমুখি পড়ে যান তিনি। অভিযোগ, অর্জুন কুমারকে দেখেও নমস্কার করেননি। তাতেই অপমানিত বোধ করেন টিআরএস নেতা। এর পর উমাকান্তের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুরু হয় মারধরও। তাতেও থামেননি তিনি। পেট্রল ঢেলে দেন উমাকান্তের বাইকে। এর পর তাতে আগুন লাগিয়ে দেন। নিজের বাইক পুড়তে দেখে থানায় খবর দেন উমাকান্ত। তবে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সঙ্গীসাথী নিয়ে তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। পুলিশের সামনেই অকথ্য ভাষায় হুমকি দিতে থাকেন উমাকান্তকে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই প্রচার, সাধ্বী প্রজ্ঞাকে ফের নোটিস দিল কমিশন
পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে বছর কুড়ির উমাকান্ত বলেন, “অরুণ কুমার সে সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন। আমাকে ছুরি দেখিয়ে হুমকি দেন। অভিযোগ করেন, আমি ওঁকে সম্মান জানাইনি। এর পর আমার বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন।”
জুবিলি থানার ইনস্পেক্টর কে বালকৃষ্ণ রেড্ডি জানিয়েছেন, উমাকান্তের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রাতেই অর্জুন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)