—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলায় আবার উপস্থিতি জানান দিল মাওবাদীরা। শুক্রবার মাওবাদীদের পাতা ‘ইম্প্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইইডি) বিস্ফোরণে দুই সিআরপিএফ জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন।
সিআরপিএফ এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশের বিশেষ মাওবাদী দমন বাহিনী ‘জাগুয়ার’ সারান্ডার জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। জারাইকেলার কাছে মানকি এলাকায় আইইডি বিস্ফোরণের মুখে পড়েন জওয়ানেরা। ওই এলাকারই অদূরে গত জুলাই মাসে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি) গোপন অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার করেছিল যৌথবাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে পশ্চিম সিংভূম জেলার ছোটানাগরা এলাকায় মাওবাদীদের পাতা আইইডি ফাঁদে নিহত হয়েছিলেন সিআরপিএফের সাব-ইনস্পেক্টর, পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের বাসিন্দা সুনীলকুমার মণ্ডল। ঝাড়খণ্ড পুলিশের আইজি (রাঁচী) মনোজ কৌশিক শুক্রবার বলেন, ‘‘জখম দুই জওয়ানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’’ তিনি জানান, ওই এলাকায় কমপক্ষে তিন জন শীর্ষ মাওবাদী নেতা— মিসির বেসরা, পতিরাম মাঝিঁ এবং অসীম মণ্ডল সক্রিয় যাঁদের প্রত্যেকের মাথায় দাম ১ কোটি টাকা। ঝাড়খণ্ড পুলিশ সম্প্রতি জানিয়েছে যে তারা ৫৫ জন পিএলজিএ নেতা-কর্মীকে ধরার জন্য বেশ কয়েকটি জেলা জুড়ে অভিযান শুরু করেছে। সেই তালিকায় শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডাররাও রয়েছেন, যাঁদের মাথার মোট দাম প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা। মনোজ জানিয়েছেন, গত ছ’মাসে প্রায় ২০০ মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ১০ জন আত্মসমর্পণ করেছেন এবং ১৭ জন সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।