সোনম এবং রাজা রঘুবংশী। ফাইল চিত্র।
রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে এ বার জমি-বাড়ির এক ব্যবসায়ীকে ইনদওর থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সিলম জেমস। শনিবার রাতে শহরের মহালক্ষ্মীনগর থেকে এই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ এবং সোনমদের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু সিলমই নন, এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি পেশায় এক জন নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনাচক্রে, খুনের পর ইনদওরে যে ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন সোনম, সেই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেন ধৃত। ফ্ল্যাট থেকে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ লোপাটে ব্যবসায়ী সিলমের সহযোগী হিসাবে কাজ করেছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী।
ইনদওরের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এডিসিপি) রাজেশ দন্দোটিয়া বলেন, ‘‘শনিবার রাতে মহালক্ষ্মীনগর থেকে সিলম জেমসকে গ্রেফতার করেছে শিলং পুলিশ। তাঁর এক সহযোগীকেও ধরা হয়েছে। দু’জনকেই রাজা হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের ট্রানজ়িট রিমান্ডে শিলঙে নিয়ে যাওয়া হবে।’’
গত পাঁচ দিন ধরে ইনদওরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ইনদওরের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় তারা। তখনই তারা এই ব্যবসায়ী এবং তাঁর সহযোগীর হদিস পায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই আবাসনে সোনমের কালো ব্যাগের খোঁজে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ব্যাগ পাননি তাঁরা। সেই তদন্তের মধ্যেই সিলমের খোঁজ পান তাঁরা। সিলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, খুনের কাজে ব্যবহৃত নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা, একটি পিস্তল, এবং সোনমদের পোশাক ইনদওরের ফ্ল্যাট থেকে সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করেছিলেন। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সোনমের কাছে থাকা কালো ব্যাগে এই জিনিসগুলি ছিল।
ঘটনাচক্রে, গত ১৩ জুন এই ব্যবসায়ীই সংবাদংমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, এই ঘটনার এক অভিযুক্ত বিশালকে তিনি চিনতে পেরেছেন। কিন্তু এই ব্যবসায়ীও যে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে জড়িত ছিলেন, তখনও সেটা প্রকাশ্যে আসেনি। তদন্তে নেমে ইনদওরের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেন তদন্তকারীরা। সেখানেই সিলমকে দেখা যায় একটি ব্যাগ আবাসনের ওই ফ্ল্যাট থেকে বার করে নিয়ে যাচ্ছেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খুনে অভিযুক্ত বিশালকে ১৭ হাজার টাকায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন সিলম। সেই ফ্ল্যাটেই উঠেছিলেন সোনম।