— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাথায় বাসা বেঁধেছিল ‘ঘিলুখেকো অ্যামিবা’! আর তার জেরে কেরলে মৃত্যু হল আরও দুই জনের। দু’টি ঘটনাই ঘটেছে কেরলের কোঝিকোড় জেলায়। উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে কেরলে একই রোগে মৃত্যু হয়েছিল ন’বছরের এক বালিকার। নতুন করে আরও দুই মৃত্যুতে সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন।
খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে কোঝিকোড়ে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন মাসের এক শিশু গত মাসখানেক ধরেই এই বিরল রোগে ভুগছিল। সোমবার ভোররাতে কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার। ৫২ বছরের আর এক রোগীও চিকিৎসাধীন ছিলেন। রবিবার তাঁরও মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত শিশুটি কোঝিকোড়ের ওমাসেরির বাসিন্দা। অন্য দিকে, ৫২ বছরের ওই রোগিণী মলপ্পুরম জেলার কাপ্পিলের বাসিন্দা ছিলেন। তিনিও গত ৮ জুলাই থেকে ভর্তি ছিলেন কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে। উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট একই রোগে মৃত্যু হয়েছে থামারাসেরির বাসিন্দা ন’বছরের এক বালিকার। কোঝিকোড়, মলপ্পুরম এবং ওয়েনাড় জেলার আরও আট জন রোগী বর্তমানে কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
মস্তিষ্কের বিরল এই সংক্রমণের নাম ‘প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস’ (পিএএম)। সারা বিশ্বে এই রোগে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশেরও বেশি। এর নেপথ্যে রয়েছে ‘নিগ্লেরিয়া ফোলেরি’ নামে এক অ্যামিবা। উষ্ণ ও মিষ্টি জলে বসবাসকারী এই অ্যামিবা স্নান কিংবা সাঁতার কাটার সময় নাক এবং মুখ দিয়ে মানবদেহে প্রবেশ করে। তার কয়েক দিনের মধ্যেই মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি নার্ভে আক্রমণ করে অ্যামিবাটি। সহজ কথায়, কুরে কুরে মস্তিষ্কের কোষ খেয়ে নেয় সে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় রোগীর।