সংসদে হামলার সেই দৃশ্য। — ফাইল চিত্র।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩। ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’ স্লোগান দিতে দিতে ‘রং বোমা’ নিয়ে লোকসভার গ্যালারি থেকে চেম্বারের ভিতর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দু’জন। সংসদ ভবনের চারদিক ছেয়ে গিয়েছিল হলুদ রঙের গ্যাসে। ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছিলেন আতঙ্কিত সাংসদেরা। সেই ঘটনার দু’বছর পর অবশেষে জামিন পেলেন দুই অভিযুক্ত নীলম আজ়াদ ও মহেশ কুমাওয়াত। বুধবার তাঁদের জামিন দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
জামিন মঞ্জুর করার সময় একাধিক শর্তও আরোপ করেছে হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, দুই ব্যক্তি কোনও ভাবেই চলমান তদন্ত বা বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারবেন না। জামিনে মুক্ত থাকাকালীন তাঁরা কোনও রকম সাংবাদিক বৈঠক করতে পারবেন না। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দিতে পারবেন না। সমাজমাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কিত কোনও পোস্ট করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও, নীলম ও মহেশ দু’জনকেই প্রতি সোম, বুধ এবং শুক্রবার সকাল ১০টায় থানায় হাজিরা দিতে হবে। আদালতের পূর্ব অনুমতি ছাড়া দিল্লিও ছাড়তে পারবেন না তাঁরা।
২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনের ‘জ়িরো আওয়ার’-এ দুই যুবক সভার মাঝে লাফিয়ে পড়েন। তখন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বক্তৃতা করছিলেন। সেই সময় আচমকা দুই যুবক হলুদ রঙের গ্যাস জাতীয় পদার্থ সভায় ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন। এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে লাফিয়ে লাফিয়ে চিৎকার করে স্লোগানও দিতে শুরু করেন তাঁরা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁদের আটক করা হয়। প্রশ্ন ওঠে সংসদের নিরাপত্তা নিয়েও। ধরা পড়েন অমল শিন্ডে, মনোরঞ্জন ডি, সাগর শর্মা, নীলম আজ়াদ, ললিত ঝা এবং মহেশ কুমাওয়াত। ফেসবুকে ‘ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব’ নামে একটি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্তেরা। সেখানেই আলাপ এবং বন্ধুত্ব। এর পর সকলে মিলে আঁটঘাঁট বেঁধে সংসদে ঢোকেন তাঁরা। উদ্দেশ্য ছিল নৈরাজ্য সৃষ্টি করা।