প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে মাওবাদী-দমন অভিযানে আবার সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। বুধবার রাতে অবুঝমাঢ়ের দুর্গম জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র দুই স্থানীয় নেত্রী।
ছত্তীসগঢ় পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ), ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও বস্তার ফাইটার্সের যৌথ অভিযানে মাওবাদী সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র ওই দুই গেরিলার মৃত্যু হয়। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ৫.৫৬ এমএম ইনসাস স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং একটি .৩১৫ বোরের রাইফেল।
ছত্তীসগড় পুলিশের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সূত্রে নারায়ণপুর ও কোন্ডাগাঁও জেলার সীমানায় পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় পিএলজিএ-র মাঢ় ডিভিশনের কমান্ডারদের উপস্থিতির খবর পেয়ে বুধবার রাতে অভিযান শুরু হয়েছিল। নারায়ণপুর জেলার কোহকমেটার জঙ্গলে গভীর রাতে দু’তরফের গুলির লড়াই শুরু হয়। অন্ধকারে অন্য মাওবাদীরা জঙ্গলে গা ঢাকা দিলেও দুই মহিলা গেরিলা নিহত হন।
ছত্তীসগঢ় পুলিশের তথ্য জানাচ্ছে, ২০২৪ সাল থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে নিহত মাওবাদী ক্যাডারদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি মহিলা। ঘটনাচক্রে, ২০২৫ সালে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হত নারী মাওবাদীদের নিহত হওয়ার হার আরও বেড়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যেই মাওবাদীদের দেশ থেকে নির্মূল করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে ছত্তীসগঢ়-সহ বিভিন্ন মাওবাদী উপদ্রুত রাজ্যে চলতি বছরের গোড়া থেকেই জোরকদমে অভিযান শুরু হয়েছে।
চলতি বছরে মাওবাদী পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি, সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু ওরফে গগন্না, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম ওরফে সুধাকর বস্তারের জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। পিএলজিএ-র হাত থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা পুনরুদ্ধারও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বস্তার ডিভিশনের পাঁচটি জেলায় ১৬ জন নেতা-নেত্রী-সহ পিএলজিএ-র বেশ কয়েক জন সক্রিয় বলে পুলিশের দাবি।