আগামী বছর অক্টোবর থেকেই শুরু হবে জনগণনার কাজ। —ফাইল চিত্র।
২০২৭ সালে শুরু হচ্ছে জনগণনা। সে বছরের ১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে এই প্রক্রিয়া। তবে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের হিমালয় ঘেরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা সে সময় তুষারাবৃত থাকবে। তাই ওই এলাকাগুলিতে ২০২৬-এর অক্টোবর থেকেই শুরু হবে জনগণনার কাজ। সরকারি সূত্রের উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই বুধবার এ কথা জানিয়েছে।
সরকারি রীতি অনুযায়ী ১০ বছর অন্তর জনগণনা হওয়ার কথা। শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। সেই হিসাবে ২০২১ সালে নতুন জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কেন্দ্রের দাবি, করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। যদিও ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশের পর দেশ জুড়ে তৈরি হওয়া উত্তেজনার আবহে সে সময় নরেন্দ্র মোদী সরকার আদমসুমারির প্রক্রিয়া শুরুর তৎপরতা দেখায়নি বলে অভিযোগ।
সেই থেকে এখনও থমকেই রয়েছে জনগণনা। পাঁচ বছর ধরে জনগণনা প্রক্রিয়া থমকে থাকার পর অবশেষে শুরু হতে চলেছে প্রক্রিয়া। এটিই হবে মোদী জমানার প্রথম জনগণনা। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দু’টি পর্যায়ে সাঙ্গ হবে পুরো প্রক্রিয়া। ঘটনাচক্রে, গত মাসেই জনগণনার সঙ্গে জাতগণনা করার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে জাত এবং জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যও এ বারের জনগণনা পর্বে সংগ্রহ করা হবে বলে ওই সূত্রের দাবি। ২০২৮ সালে সামনে আসতে পারে এ সংক্রান্ত তথ্য। বর্তমানে দেশের জনগণনা কমিশনার পদে রয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়কুমার নারায়ণ। গত বছর তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ২০২৬-এর অগস্ট মাস পর্যন্ত বাড়িয়েছিল মোদী সরকার।