হরিয়ানায় বন্ধ গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার একই পরিবারের সাত জনের দেহ। —প্রতীকী চিত্র।
বন্ধ গাড়ির ভিতরে একই পরিবারের সাত জনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হরিয়ানার পঞ্চকুলায়। প্রাথমিক ভাবে এই সাত জনের মৃত্যুকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মনে করছে না পুলিশ। বরং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, গাড়ির ভিতর আত্মহত্যা করেছেন ওই সাত জন। গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও।
একটি গাড়ির ভিতর ধস্তাধস্তি করছেন সাত জন— মঙ্গলবার ভোরে এই মর্মে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ির দরজা ভেঙে সাত জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই পরিবারের সদস্যেরা উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনের বাসিন্দা। সোমবার ওই পরিবারের সদস্য প্রবীণ মিত্তল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে হরিয়ানার বাগেশ্বরধামে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময়ই এই ঘটনা ঘটে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার রাতের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে। গাড়িতে ছিলেন বছর ৪২-এর প্রবীণ, তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী এবং তিন সন্তান— দুই কন্যা, এক পুত্র।
পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রবীণের বাজারে অনেক ধারদেনা ছিল। পাওনাদারদের চাপেই তিনি পরিবারের সকলকে নিয়ে এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ট্যাংরায় একই রকম ভাবে ঋণগ্রস্ত দে পরিবারের সকলে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। মৃত্যু হয় তিন মহিলা সদস্যের। গাড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেও প্রাণে বেঁচে যান পরিবারের বাকি তিন জন সদস্য।
হরিয়ানার ঘটনায় পুলিশ অবশ্য সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত করছে। এমনই জানিয়েছেন তদন্তকারী দলে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক। সুইসাইড নোটটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য ফরেন্সিক দলের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।