বিধানসভায় কাঁদছেন বিধায়ক কল্পনাথ পাসোয়ান।
বিধানসভায় হই হট্টগোল, চেঁচামেচি, এমনকি শাসক-বিরোধী বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি থেকে মারপিটের ছবি পর্যন্ত দেখা যায়। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা এ দিন উল্টো ছবি দেখল। সেখানে দাঁড়িয়ে কার্যত হাউহাউ করে কাঁদছেন এক বিধায়ক!সহ-বিধায়করাসবাই মিলে আশ্বাস, ভরসা দিয়েও কার্যত তাঁকে থামাতে পারছিলেন না। তিনি আজমগড়ের মেহনগর কেন্দ্রের বিধায়ক কল্পনাথ পাসোয়ান।
কেন এই উলটপুরাণ? জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কল্পনাথ পাসোয়ানের ১০ লাখ টাকা খোয়া যায়। একটি হোটেল থেকে সেই টাকা চুরি যায় বলে তাঁর অভিযোগ। যদিও এ নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি। কিন্তু সোমবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সেই প্রসঙ্গ তোলেন কল্পনাথ। গোটা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক।
বিধানসভায় কল্পনাথ বলেন, ‘‘আমি ‘হাউস’-এর কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি। এখানে বিচার না পেলে আমি কোথায় যাব? আমি মারা যাব। আমি খুব গরিব মানুষ। আমার টাকা ফেরত না পেলে আমি আত্মহত্যা করব।’’ তবে ঠিক কী ভাবে ওই টাকা চুরি গেল, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি ওই কল্পনাথ।
আরও পড়ুন: দাদা মাসুদ আজহারের ছায়ায় পাকিস্তানে বসে জইশের ফিদায়েঁ অপারেশন চালাচ্ছে আসগর
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত আক্রোশে খুন? বিধায়ক খুনে জালে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ
তাঁকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসেন পাশে বসে থাকা বিধায়করা। জবাবে পরিষদীয় মন্ত্রী সুরেশকুমার খন্না বলেন, ‘‘ন্যায়বিচার দিতে তিনি রিপোর্ট চাইবেন।’’
অধিবেশনের পরে বিধায়ক কল্পনাথ পরিষদীয় মন্ত্রীর কাছে যান। সুরেশকুমার খন্না তাঁকে বলেন, ‘‘এফআইআর দায়ের করতে চাইলে, তা করা হবে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র দফতরও আলাদা করে তদন্ত করে দেখবে।’’
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)