tattoo

ট্যাটু থাকলে আইপিএস হওয়া যাবে না! বন্ধুর থেকে ‘নিয়ম’ জেনে নিজেকে শেষ করলেন যুবক

খুব ভাল ভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অভিষেক। দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের ভাড়াবাড়িতে খ্যাতনামী আইপিএস আধিকারিকদের ছবিও লাগিয়েছিলেন দেওয়াল জুড়ে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫৮
Share:

ট্যাটুই কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ। প্রতীকী ছবি।

ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন যুবক। স্বপ্ন ছিল আইপিএস হবেন। কিন্তু হাতে আঁকা ট্যাটুই কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। ঘটনাটি দিল্লির।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম অভিষেক গৌতম। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা। ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে তিনি দিল্লি চলে এসেছিলেন। সেখানেই ঘরভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। সঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। শখ করে হাতে ‘আইপিএস’ লেখা ট্যাটুও করিয়েছিলেন অভিষেক।

খুব ভাল ভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অভিষেক। দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের ভাড়াবাড়িতে খ্যাতনামী আইপিএস আধিকারিকদের ছবিও লাগিয়েছিলেন দেওয়াল জুড়ে। দিনরাত এক করে পড়াশোনা করছিলেন যাতে প্রথম চেষ্টাতেই সফল হন। কিন্তু আইপিএস হওয়ার স্বপ্নে হাতে ট্যাটু করানোই তাঁর কাল হল।

Advertisement

রাজেন্দ্র নগরের ওই বাড়িতে অভিষেক ছাড়াও আরও কয়েক জন পরীক্ষার্থীও থাকতেন। তাঁদের মধ্যেই ললিত মিশ্র নামে এক যুবক অভিষেকের হাতে ট্যাটু দেখার পর জানান, যাঁরা ট্যাটু করিয়েছেন, তাঁদের আইপিএস হিসাবে নির্বাচন করা হবে না। এমনকি পরীক্ষায় পাশ করলেও বাদ দেওয়া হবে।

বন্ধুর মুখ থেকে আইপিএস-এর এই ‘নিয়ম’ জানার পরই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন অভিষেক। পুলিশ সূত্রে খবর, এর পরই অভিষেক গুগলে আইপিএস নির্বাচনের পদ্ধতি এবং তার সঙ্গে ট্যাটুর সম্পর্ক রয়েছে কি না তা সার্চ করা চেষ্টা করেন। শুধু তাই-ই নয়, ট্যাটু কী ভাবে তুলতে হয়, গুগলে তা-ও সার্চ করেন অভিষেক। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভাড়াবাড়ি থেকে অভিষেকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিষেকের পরিবার বাড়ির মালিক এবং অভিষেকের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের জেরা করে কোনও সূত্র না পাওয়ায় পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়। সেখানেও কোনও কিছু সূত্র না পাওয়া যাওয়ায় মামলাটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন