Plane Crash in Ahmedabad

ব্ল্যাক বক্স থেকে এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের ৪৯ ঘণ্টার উড়ানের তথ্য উদ্ধার, সাহায্য করেছে আমেরিকা থেকে আনা প্রযুক্তি

এই ‘গোল্ডেন শ্যাসি’ কী? দুর্ঘটনায় যখন ব্ল্যাক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তা থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য এই ‘গোল্ডেন শ্যাসি’-তেই ভরসা করেন তদন্তকারীরা। এটি আসলে একটি রেকর্ডিং ইউনিট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ১৪:২৭
Share:

— ফাইল চিত্র।

এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের একটি ব্ল্যাক বক্স থেকে সেটির প্রায় ৪৯ ঘণ্টার উড়ানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ১২ জুনের দুর্ঘটনার সময়কার তথ্যও। আর সেই তথ্য সংগ্রহ করতে বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী ব্যুরো (এএআইবি)-কে সাহায্য করেছে আমেরিকার সরকারি তদন্তকারী সংস্থার থেকে আনা ‘গোল্ডেন শ্যাসি’। বোয়িং বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে মেলা তথ্য বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, বিমানের জ্বালানির সুইচ বন্ধ হয়ে গিয়েই হয়েছিল বিপত্তি।

Advertisement

১২ জুন অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই মেঘানিনগরে লোকালয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি। প্রাণ গিয়েছিল ২৬০ জনের। তাঁদের মধ্যে ২৪১ জন সওয়ার ছিলেন বিমানে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ‘এনহ্যান্সড এয়ারবর্ন ফ্লাইট রেকর্ডারস’ (ইএএফআর) উদ্ধার করে এএআইবি। তারাই তদন্ত করছে দুর্ঘটনার। এই ইএএফআর ব্ল্যাক বক্স বলেই বেশি পরিচিত। ২৪ জুন সেই দু’টিকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়। সেগুলি থেকে তথ্য উদ্ধার করতে সাহায্য করেছে আমেরিকা থেকে আনা ‘গোল্ডেন শ্যাসি’।

এই ‘গোল্ডেন শ্যাসি’ কী? দুর্ঘটনায় যখন ব্ল্যাক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তা থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য এই ‘গোল্ডেন শ্যাসি’-তেই ভরসা করেন তদন্তকারীরা। এটি আসলে একটি রেকর্ডিং ইউনিট। এএআইবি শনিবার জানিয়েছে, তাদের এই ‘গোল্ডেন শ্যাসি’ এবং প্রয়োজনীয় কেবল দিয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)। আমেরিকার এই সরকারি সংস্থা বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করে। নয়াদিল্লিতে এএআইবির গবেষণাগারেই চলেছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স তথ্য উদ্ধারের কাজ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ব্ল্যাক বক্সের ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল (সিপিএম) ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এই সিপিএমই ব্ল্যাকবক্সকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে।

Advertisement

এএআইবি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলেছে, ‘‘গোল্ডেন শ্যাসির উপরে সিপিএম স্থাপন করা হয় এবং ইএএফআর থেকে তথ্য (র ডেটা) ডাউনলোড করা হয়। ব্ল্যাক বক্স থেকে প্রায় ৪৯ ঘণ্টার উড়ানের ডেটা উদ্ধার করা হয়। ওই ডেটা বিমানটির মোট ছ’টি উড়ানের। তার মধ্যে রয়েছে দুর্ঘটনার সময়ে উড়ানের তথ্যও।’’ রিপোর্টে এএআইবি আরও বলেছে, ‘‘ব্ল্যাক বক্স থেকে যে অডিয়ো উদ্ধার হয়েছে, তা দু’ঘণ্টা দীর্ঘ। সেখানে দুর্ঘটনার সময়ের কথোপকথন ধরা পড়েছে। অডিয়ো এবং উড়ানের তথ্যের প্রাথমিক বিশ্লেষণ হয়ে গিয়েছে।’’

রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে যে, অহমদাবাদ দুর্ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ইএএফআর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই সাধারণ উপায়ে তা থেকে তথ্য উদ্ধার কঠিন হয়ে পড়েছিল। তদন্তকারীরা মেমরি কার্ড খতিয়ে দেখার জন্য সিপিএম খোলেন। দেখা যায়, সেই মেমরি কার্ডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন সঞ্জয়কুমার সিংহ। তিনি তদন্তকারী-ইন-চার্জ। মুখ্য তদন্তকারী হলেন যশবীর সিংহ লারহ। তা ছাড়াও দলে রয়েছেন প্রযুক্তিবিদ, অভিজ্ঞ পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাভিয়েশন সাইকোলজিস্ট, মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement