আখলাখ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে চায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ফ্রিজ়ে গোমাংস রাখার সন্দেহে উত্তরপ্রদেশে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল মহম্মদ আখলাখকে। এক দশক আগের সেই খুনের মামলায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। এ বার ওই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে চাইছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেটার নয়ডার বিসাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রৌঢ় আখলাখকে বাড়ি থেকে বার করে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। মারধর করা হয় আখলাখের ছেলে দানিশকেও। বস্তুত, ওই ঘটনার ঠিক আগেই গ্রামে লাউ়ডস্পিকার লাগিয়ে প্রচার করা হয়েছিল, আখলাখ নাকি ফ্রিজ়ে গোমাংস রেখে দিয়েছেন। সেই খবর চাউর হওয়ার পরেই তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। ওই ঘটনার পরে আখলাখের স্ত্রী থানায় ১০ জনের নামোল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতীর কথা উল্লেখ করেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের ওই হত্যাকাণ্ডে গোটা দেশ তোলপাড় হয়। ওই সময়ে উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সরকার ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু হয় এবং বর্তমানে মামলাটি গ্রেটার নয়ডার সুরজপুরে জেলা আদালতে বিচারাধীন। শনিবার জেলা আদালতের অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী ভাগ সিংহ ভাটি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের তরফে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আখলাখ হত্যা মামলায় সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের থেকে একটি চিঠি এসেছে। সেই আবেদনপত্রটি সুরজপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর আবেদনটি শুনবে আদালত।”
এই মামলায় আখলাখের পরিবারের আইনজীবী ইউসুফ সইফির সঙ্গেও কথা বলে পিটিআই। তিনি অবশ্য জানান, এমন কোনও সরকারি নথি এখনও পর্যন্ত তাঁর নজরে আসেনি। ইউসুফ বলেন, “আমি শুধু এ বিষয়ে শুনেছি। ওই সংক্রান্ত নথি পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব।”