Madhya Pradesh

১৫০ বছরের অশ্বত্থ গাছকে ঘিরে বাড়ি!

মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর শহরের বাসিন্দা কেশরওয়ানি পরিবার। কী ভাবে ১৫০ বছর পুরনো একটি অশ্বত্থ গাছের চারদিক ঘিরে একটি বাড়ি তৈরি করা যায় সেই কাহিনি শোনালেন যোগেশ কেশরওয়ানি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জব্বলপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ২১:১২
Share:

কেশরওয়ানি পরিবারের বাড়ি। ছবি: এএফপি।

বাড়ি বানানোর পথে যদি বাধা হয় তবে গাছ কেটে ফেলাই যেখানে দস্তুর, সেখানে গাছ বাঁচিয়ে বাড়ি তৈরির ঘটনা বিরল। এমনটাই করল মধ্যপ্রদেশের কেশরওয়ানি পরিবার।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর শহরের বাসিন্দা কেশরওয়ানি পরিবার। কী ভাবে ১৫০ বছর পুরনো একটি অশ্বত্থ গাছের চারদিক ঘিরে একটি বাড়ি তৈরি করা যায় সেই কাহিনি শোনালেন যোগেশ কেশরওয়ানি।

যোগেশ কেরওয়ানির বাবা ১৯৯৪ সালে এই বাড়িটি তৈরি করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রকৃতিপ্রেমী। বাবা প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন গাছটিকে রেখেই বাড়ি তৈরি করতে। সেই মতো ইঞ্জিনিয়ারকে নকশা তৈরি করতে বলেছিলেম।’’

Advertisement

যোগেশ কেরওয়ানি বলেন, ‘‘গীতাতেও অশ্বত্থ গাছের উল্লেখ রয়েছে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, একটি অশ্বত্থ গাছেই ৩৩ কোটি দেবদেবী বসবাস করেন।’’ তাই এই গাছটিকে কাটার কথা কখনই তাঁরা ভাবেননি। অথচ যে কাজটা সব থেকে সোজা ছিল। কিন্তু তাঁরা বিশ্বাস করেন, এই ধরনের গাছ কেটে ফেলা যতটা সহজ, বাঁচিয়ে রাখা ততটাই কঠিন। এখন তাঁদের বাড়ির মাঝখানে রয়েছে এই ১৫০ বছরে পুরনো অশ্বত্থ গাছটি।

আরও পড়ুন : সরফরাজকে ‘মোটা মোটা’ বলে ডাকলেন পাকিস্তানি ফ্যানরা

আরও পড়ুন : আরএসএস ‘কেত’! এ বার খাকি হাফ প্যান্ট পরে ট্রোলড প্রিয়ঙ্কা চোপড়া

বাড়িটি যখন তৈরি হচ্ছিল, তখন স্থানীয় কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা প্রায়ই আসতেন, কী ভাবে এমন গাছ বাঁচিয়ে বাড়ি তৈরি করা যায় শিখতে। আর এখন এই বাড়ির পাশ দিয়ে যাঁরাই যান,তাকিয়ে দেখেন কী ভাবে একটি বাড়ির জানালা দিয়ে বেরিয়ে রয়েছে মোটা মোটা অশ্বত্থ গাছের ডাল। এই বাড়ি এখন এলাকার বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রেবিন্দু।

এই পরিবার একটা বার্তা দিতে চেয়েছেন, যে প্রকৃতিকে বাঁচিয়েই এগিয়ে যাওয়া যায়। প্রকৃতি কখনওই সে ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। কারণ গাছ নিশঃব্দে দাঁড়িয়ে থাকে, কারও ক্ষতি না করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন