Rhino Sleeping

ক্লান্ত গণ্ডারের ঘুম না ভেঙে যায়! প্রায় নিঃশব্দে যাতায়াত করছে যানবাহন, ভাইরাল ভিডিয়ো

তার ঘুমের যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য বনকর্মীরা যা করেছেন, সেই ভিডিয়ো কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করা হয়েছে শনিবার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা  

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০৯:১৩
Share:

জাতীয় সড়কে ঘুম দিচ্ছে ক্লান্ত গন্ডার। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

মানুষ তো বটেই, অসমে বন্যার জেরে প্রবল অসুবিধায় পড়েছে বন্যপ্রাণীরাও। বন্যার জেরে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে পড়েছিল একটি গণ্ডার। সেখান থেকে এসে ক্লান্ত সেই গণ্ডার ঘুমিয়ে পড়েছিল ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। তার ঘুমের যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য বনকর্মীরা যা করেছেন, সেই ভিডিয়ো কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করা হয়েছে শনিবার। তা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটাগরিকরা।

Advertisement

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় সড়কের উপর ঘুমিয়ে রয়েছে ক্লান্ত গণ্ডারটি। সে যেখানে ঘুমাচ্ছে, তার পাশে ব্যারিকেড করে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বনকর্মীরা। সে সময় জাতীয় সড়কে থাকা যানবাহনকে ধীরে ধীরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন তাঁরা। হর্ন বাজাতেও বারণ করছেন, যাতে গণ্ডারের ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

দেখুন সেই ভিডিয়ো—

Advertisement

বন্যা বিধ্বস্ত অসমে বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার ও তাদের যত্ন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ছবি ভিডিয়ো গত কয়েক দিনে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। গত বুধবার মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল একটি একশৃঙ্গ গণ্ডার শাবক। তাঁকে উদ্ধারের পর গ্রামবাসীদের আদরের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভয়ঙ্কর বন্যার জেরে অসমের ৩৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই বন্যায়। বন্যা সমস্যায় ফেলেছে বন্যপ্রাণকেও। সাতটি গণ্ডার সহ ৯৬টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে এই বন্যায়। এ ছাড়াও শতাধিক বন্যপ্রাণী হারিয়েছে নিজেদের বাসস্থান।

আরও পড়ুন: ছুঁয়ে দেব! ভয় দেখিয়ে পালানোর চেষ্টা করোনা-আক্রান্ত ১৭৬ কয়েদির, ফেরাল বুলেট

আরও পড়ুন: অসমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন