4 States Assembly Election Result

হিন্দি ভারতে যত আসন বেশি পেল বিজেপি, ভোট কি ততটা অনুপাতেই পেল? তেলেঙ্গানার ছবিই বা কী?

চার রাজ্যে কত শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি কংগ্রেস, বিআরএস, এমআইএম, বিএসপি বা অন্যান্যরা? তার উপর অনেকটাই নির্ভর করতে চলেছে লোকসভা ভোটের হিসেবনিকেশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৭
Share:

তিন রাজ্যের ভোটে জয় পেয়ে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের। ছবি: পিটিআই।

চার রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যের বিধানসভা দখল করেছে বিজেপি। মানুষের সমর্থন কতটা আদায় করতে পেরেছে? মধ্যপ্রদেশে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী কংগ্রেসের থেকে তাদের ভোটের হার অনেকটাই বেশি। কিন্তু তেলঙ্গানা, ছত্তীসগঢ়ে জিতলেও সেই ফারাক খুব বেশি নয়। অন্য দিকে তেলঙ্গানায় কংগ্রেস জিতলেও বিআরএসের সঙ্গে তার ভোটের ফারাক খুব বেশি নয়। চার রাজ্যে কত শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি কংগ্রেস, বিআরএস, এমআইএম, বিএসপি বা অন্যান্যরা? তার উপর অনেকটাই নির্ভর করতে চলেছে লোকসভা ভোটের হিসেবনিকেশ।

Advertisement

রাজস্থানে মোট আসন ১৯৯টি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিজেপি জিতেছে ১১৫টি আসনে। কংগ্রেস জিতেছে ৬৯টি আসনে। ভারত আদিবাসী পার্টি জিতেছে তিনটিতে। বিএসপি (বহুজন সমাজ পার্টি) জিতেছে দু’টিতে। রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি) এবং রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি (আরএলটিপি) জিতেছে একটি করে আসনে। নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন আটটি আসনে, কংগ্রেসের থেকে এখন পর্যন্ত রাজস্থানে ৪৭টি আসন বেশি পেয়েছে বিজেপি। তবে ভোটের হারের ফারাক দুই শতাংশের আশপাশে। বিজেপি সে রাজ্যে ৫৭.৭৮ শতাংশ আসন জিতে ভোট পেয়েছে ৪১.৬৯ শতাংশ। আর কংগ্রেস ৩৪.৬৭ শতাংশ আসনে জিতে ভোট পেয়েছে ৩৯.৫৩ শতাংশ। আরএলটিপি একটি আসনে জিতেও পেয়েছে ২.৩৯ শতাংশ ভোট। বিএসপি দু’টি আসনে জিতে পেয়েছে ১.৮১ শতাংশ ভোট। বাকি কোনও দলই এক শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। রাজস্থানে নোটায় পড়েছে ০.৯৬ শতাংশ ভোট।

মধ্যপ্রদেশে ২৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ১৬৪টি আসনে। কংগ্রেস জিতেছে ৬৫টিতে। আর ভারত আদিবাসী পার্টি জিতেছে একটিতে। কংগ্রেসের থেকে দ্বিগুণের বেশি আসনে জয়ের পাশাপাশি ভোটের ফারাকও কিন্তু অনেকটাই। বিজেপি ৭১.৩০ শতাংশ আসনে জিতে পেয়েছে ৪৮.৫৮ শতাংশ ভোট। ৪০.৪৪ শতাংশ ভোটার রয়েছে কংগ্রেসের পাশে। তারা পেয়েছে ২৮.২৬ শতাংশ ভোট। মধ্যপ্রদেশে বিএসপি একটি আসনেও না জিতে ৩.৩৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আপ, জেডিইউ, এসপি, সিপিআই, সিপিএম— সব দলের ভোটের হার এক শতাংশেরও কম। নোটায় ভোট পড়েছে ০.৯৮ শতাংশ।

Advertisement

ছত্তীসগঢ়ে মোট আসন ৯০টি। তার মধ্যে ৩৫টিতে জয়ী বিজেপি। এগিয়ে রয়েছে আরও ১৯টিতে। ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে সে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল। অর্থাৎ ৬০ শতাংশ আসন পেয়েছে তারা। ৩৫টি আসনে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে কংগ্রেসকে। ৩৮.৮৮ শতাংশ আসনে জিতেছে তারা। বিএসপি এগিয়ে রয়েছে একটিতে। রাত ৮টা পর্যন্ত সেখানে জয়ের খবর আসেনি। এই রাজ্যেও ভোটের হারের নিরিখে বিজেপির ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে কংগ্রেস। তাদের হারিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। কিন্তু ভোটের হারে খুব বেশি এগিয়ে নয়। বিজেপির ভোটের হার ৪৬.৩০ শতাংশ। কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে ৪২.২০ শতাংশ ছত্তীসগঢ়বাসী। বিএসপির ভোটের হার ২.০৬ শতাংশ। এই রাজ্যে নোটায় ভোট পড়েছে ১.২৬ শতাংশ। জনতা কংগ্রেস ছত্তীসগঢ় (জেসিসি) একটি আসনেও জেতেনি। তবে ১.২২ শতাংশ ভোটার রয়েছেন তাঁর পাশে। অন্যান্যেরা পেয়েছে ৫.৫৩ শতাংশ ভোট।

১১৯টি বিধানসভা আসন বিশিষ্ট তেলঙ্গানায় জয় পেয়েছেন কংগ্রেস। রাত ৮টা পর্যন্ত ৬২টি আসনে জিতেছে তারা। আরও দু’টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৪.৬২ শতাংশ আসনে জিতে ৩৯.৩৯ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে তাদের পাশে। বিদায়ী শাসকদল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) ৩৯টি আসনে জিতেছে। তারা ৩২.৭৭ শতাংশ আসনে জিতে ভোট পেয়েছে ৩৭.৩৬ শতাংশ। এই রাজ্যেও আসন জয়ের নিরিখে প্রথম এবং দ্বিতীয় দলের মধ্যে ভোটের হারের ফারাক দুই শতাংশের কাছাকাছি। রাজ্যে ন’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল আসাদউদ্দিন ওয়াইসির অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এএমআইএম)। পাঁচটিতে ইতিমধ্যে জয়ী হয়েছে তারা। বাকি দু’টিতে এগিয়ে। রাজ্যে তাদের সমর্থন করেছে ২.২০ শতাংশ। রাজ্যে বিজেপি জিতেছে আটটি আসনে। তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার ১৩.৮৭ শতাংশ। সে জন্য এক্স (সাবেক টুইটার)-এ রাজ্যের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সে রাজ্যে নোটায় পড়েছে ০.৭৩ শতাংশ ভোট।

মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরাম থেকে বিধানসভা

মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরাম থেকে বিধানসভা

মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরাম থেকে বিধানসভা

মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরাম থেকে বিধানসভা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন