রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি ক্ষিতিজ ত্যাগী। ছবি: সংগৃহীত।
বাক্স্বাধীনতা রক্ষা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় ভারতকে পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছিল সুইৎজ়ারল্যান্ড। পাল্টা জবাব দিল ভারতও। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের বর্তমান সভার সভাপতিত্ব করছে সুইৎজ়ারল্যান্ড। সে দেশের প্রতিনিধি সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে ভারতকে পদক্ষেপ করতে বলেন। তার পরেই সুইৎজ়ারল্যান্ডকে পাল্টা জবাব দেন ওই সভায় ভারতের প্রতিনিধি ক্ষিতিজ ত্যাগী।
সভায় ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভাপতি হিসাবে সুইৎজ়ারল্যান্ডের মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে সময় ব্যয় করা উচিত নয়।” তার পরেই খানিক খোঁচা দিয়েই তিনি জানান, নিজেদের দেশের বর্ণবাদ, প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য এবং জ়েনোফোবিয়া (বিদেশের কোনও কিছুর প্রতি বিদ্বেষ) নজর দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বৈচিত্রময় গণতন্ত্রের দেশ ভারত। এ দেশে বহুত্ববাদ রয়েছে। ভারত এই বিষয়ে সুইৎজ়ারল্যান্ডকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।”
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে পাকিস্তানকেও ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ বলে খোঁচা দেন ভারতের প্রতিনিধি। তাঁর বক্তব্যেও উঠে আসে পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা। ক্ষিতিজ বলেন, “পহেলগাঁও হামলার পর আমরা নিয়ন্ত্রিত এবং সুনির্দিষ্ট জবাব দিয়েছি। সন্ত্রাসবাদের মদতদাতার কাছ থেকে আমরা শিক্ষা নেব না। সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন চালানো কারও থেকে জ্ঞান শুনব না। ভারত তাঁর প্রতিটি নাগরিককে রক্ষা করে যাবে। একই সঙ্গে কোনও রকম আপস না করেই নিজেদের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবে।