Radhika Yadav Murder

‘মেয়েকে মেরে ফেলেছি’! রাধিকার গুলিবিদ্ধ দেহের পাশে বসে কাঁদছিলেন দীপক, ভাইঝির খুনে ভাইয়ের ফাঁসি চাইলেন দাদা

দীপকের কান্নার আওয়াজ শুনে একতলা থেকে দোতলায় ছুটে এসেছিলেন তাঁর দাদা বিজয় যাদব। ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন, রাধিকা মেঝেতে পড়ে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫ ২১:২০
Share:

(বাঁ দিকে) রাধিকা যাদব। রাধিকার বাবা দীপক যাদব (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

পর পর কয়েকটি শব্দ। তার পরই চিৎকার করে কান্না। দীপকের কান্নার আওয়াজ শুনে একতলা থেকে দোতলায় ছুটে এসেছিলেন তাঁর দাদা বিজয় যাদব। ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন, রাধিকা মেঝেতে পড়ে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। আর রাধিকার দেহের পাশে বসে রয়েছেন দীপক। তাঁকে দেখেই কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘মেয়েকে মেরে ফেলেছি দাদা। আমার ফাঁসি হবে।’’ সংবাদমাধ্যম ‘আজতক’-কে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বিজয়।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘গুলির আওয়াজ পেয়েছিলাম। তার পরই দোতলায় উঠে দেখি এই কাণ্ড। আমাকে দেখেই দীপক কাঁদতে কাঁদতে রাধিকাকে দেখিয়ে বলল, ওকে মেরে ফেলেছি দাদা।’’ এমন দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন বিজয়ও। কিন্তু, দীপক সেই মুহূর্তে নিজের কোনও ক্ষতি করতে পারেন, এই আশঙ্কাও ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। পুলিশকে ফোন করে বাড়িতে ডাকেন। বিজয়ের কথায়, ‘‘দীপক খুব কাঁদছিল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ভয় পাচ্ছিলাম, গুলি করে নিজেকে শেষ না করে ফেলে।’’

পুলিশ এসে দীপককে থানায় নিয়ে যায়। এক পুলিশ আধিকারিককে বিজয় দীপকের খেয়াল রাখার জন্য অনুরোধ করেন। কারণ, তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। কটাক্ষ প্রসঙ্গে বিজয় বলেন, ‘‘আমাদের কেউ কোনও কটাক্ষ করেনি। আমরা এটা বিশ্বাস করতাম যে, আমাদের মেয়ে কোনও ভুল কাজ করবে না।’’ বিজয় জানিয়েছেন, পুলিশ আসতেই তাদের কাছে অনুরোধ করেন, দীপকের বিরুদ্ধে এমন চার্জশিট বানানো হোক যেন ওঁর ফাঁসি হয়।

Advertisement

দীপক আরও জানিয়েছেন, তাঁর ভাই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। দীপকের সব সময় মনে হত, রাধিকার জন্য ওঁকে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে। আর সেই ধারণা থেকেই দীপকের মনে রাধিকার প্রতি আক্রোশ জন্মেছিল। বিজয়ের দাবি, রাধিকার জনপ্রিয়তাও সহ্য করতে পারছিলেন না দীপক। আর সে কারণেই মেয়েকে খুন করতে হাত কাঁপেনি দীপকের।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাধিকাকে গুলি করে খুন করা হয়। খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বাবা দীপকের বিরুদ্ধে। তাঁকে এক দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এফআইআরে লেখা হয়েছিল, পিছন থেকে তিনটি গুলি করা হয়েছে। কিন্তু, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, রাধিকার বুকে চারটি গুলি করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement