PM Modi on Jailed Minister Bill

৫০ ঘণ্টা জেলে থাকলে সরকারি কর্মীরই চাকরি চলে যায়, মন্ত্রীর নয় কেন? শাহের বিতর্কিত বিল নিয়ে মুখ খুললেন মোদী

লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারের জনসভা থেকে তা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৪৬
Share:

শুক্রবার গয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারের জনসভা থেকে তা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি কর্মচারীদের দৃষ্টান্ত দিয়ে প্রশ্ন তুললেন, কেন জেলে থাকলে মন্ত্রিত্ব যাবে না? জেল থেকে সরকার চালানোর সাম্প্রতিক নজিরও তুলে ধরেছেন তিনি। তবে কারও নাম করেননি।

Advertisement

বিহারে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার গয়ায় প্রধানমন্ত্রীর একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে নতুন বিল নিয়ে মন্তব্য করেছেন মোদী। বলেছেন, ‘‘যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকেন, তাঁর চাকরি চলে যায়। তা তিনি গাড়ির চালক হোন, কেরানি হোন কিংবা পিয়ন। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও জেল থেকে সরকার চালাতে পারেন!’’ অতীতের উদাহরণ দিয়ে মোদী বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে আমরা দেখেছি, কী ভাবে জেলে বসে বসে ফাইলে সই করা হচ্ছিল। সরকারের নির্দেশিকা কী ভাবে জেল থেকে জারি করা হচ্ছিল। নেতারাই যদি এমন আচরণ করেন, তবে আমরা কী ভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করব? এনডিএ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন এনেছে। এই আইনের আওতায় প্রধানমন্ত্রীও আছেন।’’

উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ই়ডি। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তখন ইস্তফা দেননি। জেল থেকেই সরকার পরিচালনা করেছিলেন। মাস ছয়েক পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পান কেজরী। তার পর তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দায়িত্ব তুলে দেন অতীশীর হাতে। মোদী কারও নাম না করলেও তিনি আম আদমি পার্টির প্রধানকে খোঁচা দিতে চাইলেন বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

নতুন বিল নিয়ে বিরোধীরা প্রথম থেকেই সরব। অভিযোগ, এই বিল আইনে পরিণত হলে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকার তা রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাবে। ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা আরও সহজ হবে। বুধবার লোকসভায় এই বিল পেশের সময় বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল করেছিলেন। লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয়েছিল। এমনকি, বিলের কাগজ ছিঁড়ে শাহের দিকে ছো়ড়া হয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই বিল আইনে পরিণত হওয়া সহজ হবে না। কারণ তা করতে গেলে সংসদের উভয় কক্ষের দুই তৃতীয়াংশের সম্মতি প্রয়োজন।

গয়ার জনসভার আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এর পর পটনা হয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসার কথা তাঁর। কলকাতা মেট্রোর ইয়েলো লাইনের (নোয়াপাড়া-বারাসত) নোয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দ বিমানবন্দর অংশের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই স্টেশন থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে অরেঞ্জ লাইনের (নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর) হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন (রুবি) থেকে বেলেঘাটা স্টেশন এবং গ্রিন লাইনের (সেক্টর ফাইভ-হাওড়া ময়দান) এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে শিয়ালদহ স্টেশন অংশে মেট্রো চলাচলের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। তার পরে যশোহর রোড স্টেশন থেকে মেট্রো চড়ে তিনি জয়হিন্দ বিমানবন্দর স্টেশন পর্যন্ত যাবেন। আবার মেট্রোতেই যশোহর রোড ফিরবেন। তার পরে সড়কপথে যাবেন দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানের সভাস্থলে। সেখানে তাঁর রাজনৈতিক সভা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement