PM Modi in China

‘আমাদের বন্ধুত্বে ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে’, মুখোমুখি বসে জিনপিংকে ২ মিনিট ৫ সেকেন্ডের বার্তা মোদীর

চিনের তিয়ানজিন শহরে জিনপিং-মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। তার দু’মিনিট পাঁচ সেকেন্ডের ভিডিয়ো মোদী নিজেই সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। চিনা প্রেসিডেন্টের সামনে নিজের বক্তব্য হিন্দিতে পড়ে শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৫ ১১:১১
Share:

(বাঁ দিকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)। রবিবার চিনের তিয়ানজিন শহরে। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

চিন এবং ভারতের বন্ধুত্বে কল্যাণ হবে সমগ্র পৃথিবীর। দুই দেশের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে আছে এই সম্পর্কের সঙ্গে। চিনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে এমনটাই জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার চিনের তিয়ানজিন শহরে জিনপিং-মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। বৈঠক চলেছে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে। সেই বৈঠকের দু’মিনিট পাঁচ সেকেন্ডের ভিডিয়ো মোদী নিজেই সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, মোদী এবং জিনপিং মুখোমুখি বসে আছেন। চিনা প্রেসিডেন্টের সামনে নিজের বক্তব্য হিন্দিতে পড়ে শোনাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

বৈঠক আয়োজনের জন্য প্রথমেই জিনপিংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদী। দুই রাষ্ট্রনেতার শেষ বারের সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘‘গত বছর কাজ়ানে আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। তাতে আমাদের সম্পর্ক ইতিবাচক একটা দিশা পেয়েছিল। সীমান্তে বিরোধের পরবর্তী সময়ে ভারত এবং চিনের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা আবার শুরু হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবাও চালু হয়েছে।’’ এর পরেই চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বার্তা দিয়ে মোদী বলেন, ‘‘আমাদের পারস্পরিক সংহতির উপর ভারত এবং চিনের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে আছে। এতে সারা পৃথিবীর কল্যাণ হবে। পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান এবং সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী।’’ পুরো বক্তব্যই হিন্দিতে পড়ে শোনান মোদী। পরে তা স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করে দেওয়া হয়।

মোদীকে স্বাগত জানিয়ে জিনপিংও পারস্পরিক সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী, আপনার সঙ্গে আবার দেখা হল, ভাল লাগছে। এসসিও সম্মেলনের জন্য চিনে আপনাকে স্বাগত। গত বছর কাজ়ানে আমাদের বৈঠক সফল হয়েছিল। এই পৃথিবী একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছে। চিন এবং ভারত সবচেয়ে সভ্য দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। আমরা বিশ্বের দু’টি সবচেয়ে জনবহুল দেশ। আমাদের বন্ধুত্ব, প্রতিবেশী হিসাবে একে অপরের পাশে থাকা জরুরি। ড্রাগন এবং হাতির একজোট হওয়া দরকার।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কূটনৈতিক এবং দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বহুত্ববাদ, বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব এবং গণতন্ত্রকে জাগ্রত করে আমাদের শান্তি, সংহতির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’’

Advertisement

জিনপিঙের সঙ্গে মোদীর শেষ বার দেখা হয়েছিল ১০ মাস আগে। তবে দীর্ঘ সাত বছর পরে চিনে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকার শুল্ক আগ্রাসনের মাঝে এই বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এ বছর এসসিও প্লাস সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে চিনে। ২০টি দেশ এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে। এসসিও ব্লকের সদস্য চিন, ভারত-সহ মোট ১০টি দেশ— রাশিয়া, ইরান, কাজ়াখস্তান, কিরগিজ়স্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, বেলারুশ এবং উজ়বেকিস্তান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement