মেঘালয়ে পর্যটক খুনে গ্রেফতার নববিবাহিতা স্ত্রী! (বাঁ দিকে) সোনম রঘুবংশী। (ডান দিকে) রাজা রঘুবংশী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মাথার পিছনের দিকে ঘাড়ের উপরে একটি গভীর ক্ষত। কপালের উপরের দিকে আর একটি আঘাতের চিহ্ন। ধারালো কিছু দিয়ে মাথার দু’দিকে আঘাত করা হয়েছিল রাজা রঘুবংশীকে! মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন হওয়া মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের বাসিন্দা রাজার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। সোমবার পুলিশ হাতে পেয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেখান থেকে পরিষ্কার যে রাজার শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে ‘সবচেয়ে মারাত্মক’ দুটো আঘাত ছিল মাথার দু’দিকে।
গত ২০ মে মেঘালয় গিয়েছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী রাজা এবং তাঁর নববিবাহিত স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। ২৩ মে থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। দম্পতির খোঁজে ১০ দিন বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পরে ২ জুন ঘন জঙ্গল থেকে রাজার দেহ পায় পুলিশ। তার আগে নবদম্পতি শিলং বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই দু’জন ‘নিখোঁজ’ হন। রাজা-সোনমের নিখোঁজ এবং রাজার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রথম দিকে নানা জল্পনা তৈরি হয়। শেষে স্বামীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হলেও স্ত্রীর খোঁজ মেলেনি। কিন্তু সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরে সোনমের খোঁজ পাওয়ার পরে এই ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। জানা যায়, স্বামীকে খুনের ছক করে ভাড়াটে খুনি লাগিয়েছিলেন সোনম। গ্রেফতার হন ওই মহিলা।
তদন্তে উঠে আসে রাজ কুশওয়াহা নামে এক যুবকের নাম। জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের। রাজার সঙ্গে বিয়ের পরেও প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে দাবি। প্রেমিকের কারণেই স্বামীকে খুনের ছক কষেন ওই যুবতী। সে জন্য ভাড়াটে খুনিদেরও সাহায্য নেন। পুলিশের অনুমান, পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন করিয়েছেন সোনম। তার পর গা-ঢাকা দেন নিজে। সোমবার মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাত থেকে সোনমকে তারা নিজেদের হেফাজতে নেবে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও চান জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে আছেন সোনমের প্রেমিক রাজও। এ ছাড়া আকাশ রাজপুত, বিকাশ ওরফে ভিকি এবং আনন্দ নামে তিন যুবক পাকড়াও হয়েছেন।