রাধিকা যাদব। ফাইল চিত্র।
তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হোক। থানায় কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের কাছে এ কথাই বললেন কন্যা রাধিকা যাদব খুনে অভিযুক্ত বাবা দীপক যাদব। হরিয়ানার বছর পঁচিশের টেনিস খেলোয়াড়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই চার দিকে প্রতিবাদের স্বর উঠেছে। এই পরিণতির জন্য পারিবারিক পরিবেশ এবং পরিবারের সদস্যদেরই দায়ী করছেন রাধিকার বন্ধুরা।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কন্যাকে খুনের পর তাঁর দেহ নিয়ে বসেছিলেন দীপক। তাঁর দাদা আওয়াজ শুনে দোতলায় উঠে এসে দেখেন রাধিকা মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। দীপককে যখন থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল, তখনও তিনি হাউহাউ করে কাঁদছিলেন। আর পুলিশের কাছে বার বার বলছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে এমন ভাবে চার্জশিট তৈরি করা হোক যাতে ফাঁসি হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় বেশি কিছু বলতে চাননি দীপক। গুম মেরে রয়েছেন। তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রশ্নের খুব কম উত্তর দিয়েছেন দীপক। সম্ভবত, তিনি একটা মানসিক পীড়ায় রয়েছেন।’’ তবে বার বারই বলছেন, তাঁর ফাঁসির ব্যবস্থা করা হোক। রাধিকা খুনে দীপক ছাড়াও তাঁর স্ত্রী মঞ্জু যাদবের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ বাড়ছিল। তবে তদন্তকারীরা এই ঘটনায় মঞ্জুকে ক্লিনচিট দিয়েছেন। গুরুগ্রাম পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক সন্দীপ কুমার বলেন, ‘‘দীপক যে রাধিকাকে খুন করতে চলেছেন, এই বিষয়টি জানতেন না মঞ্জু। প্রাথমিক ভাবে তাঁকেও সন্দেহের আওতায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনায় তাঁর কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।’’ দীপক একাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে ইঙ্গিত তদন্তকারীদের।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বাড়িতে খুন রাধিকা। তাঁকে গুলি করে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বাবা দীপক যাদব। তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।