তা হলে আর কালো টাকা উদ্ধার হল কোথায়? যার জন্য গত ৮ নভেম্বর ঢাকঢোল পিটিয়ে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত আচমকা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! পুরনো বাতিল নোটের ৯০ শতাংশই জমা পড়ে গিয়েছে ব্যাঙ্কে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ৫০ দিনের মাথায়!
অর্থ মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তার কথায়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ৫০ দিনের মাথায় পৌঁছে দেখা যাচ্ছে, পুরনো বাতিল ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট সরকারের ঘরে (ব্যাঙ্কে) যা জমা পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই তার মোট মূল্য ১৪ লক্ষ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সময় বাজারে যে পরিমাণ পুরনো ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট ছিল, তার মোট মূল্য ১৫ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা। যার মানে, পুরনো বাতিল ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোটের ৯০ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ৫০ দিনের মাথাতেই জমা পড়ে গিয়েছে ব্যাঙ্কগুলিতে। সরকার ভাবতেই পারেনি, এই পরিমাণে পুরনো বাতিল নোট জমা পড়ে যাবে ব্যাঙ্কগুলিতে। কারণ, সরকার মনে করেছিল প্রধানমন্ত্রীর আচমকা ঘোষণায় কালো টাকার হদিশ মিলবে দারুণ ভাবে। ‘কালো টাকা’ বলে প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের পুরনো ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট আর ব্যাঙ্কে জমা পড়বে না।
আরও পড়ুন- সময়সীমা পেরনোর পর ১০টির বেশি বাতিল নোট মিললেই জেল, জরিমানা
ফলে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার জেরে ‘কালো টাকার মুখ’ কতটা ‘পুড়ল’, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে হিসেবনিকেশ শুরু হয়ে গিয়েছে। উদ্বেগ চাপা থাকছে না অর্থ মন্ত্রকের অন্দরেও।