Uttarkashi Tunnel Collapse

উদ্ধারকাজে কেন দেরি, উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গ ভেঙে পড়ায় ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বাকি শ্রমিকেরা

উদ্ধারের জন্য আমেরিকা থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতি, বিশেষ উদ্ধারকারী দল আনা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও কেন উদ্ধার করা যাচ্ছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে অন্য শ্রমিকদের মধ্যে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

উত্তরকাশী শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:২০
Share:

উত্তরকাশীতে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।

উদ্ধারকাজে কেন দেরি হচ্ছে, ঘটনার পর ছ’দিন কেটে গেলেও কেন আটকে থাকা শ্রমিকদের কেন উদ্ধার করা গেল না, এ রকম একাধিক প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্মাণকারী সংস্থা শুধু উদ্ধারের নানা রকম পন্থা নিয়েই ব্যস্ত। উদ্ধারকাজের জন্য ঠিক মতো চেষ্টাই করা হচ্ছে না।

Advertisement

উদ্ধারকাজে কেন দেরি হচ্ছে, ঘটনার পর ছ’দিন কেটে গেলেও কেন আটকে থাকা শ্রমিকদের কেন উদ্ধার করা গেল না, এ রকম একাধিক প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ দেখালেন ওই শ্রমিকদের সহকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্মাণকারী সংস্থা শুধু উদ্ধারের নানা রকম পন্থা নিয়েই ব্যস্ত। উদ্ধারকাজের জন্য ঠিক মতো চেষ্টাই করা হচ্ছে না।

উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ নির্মাণের জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা এসেছেন। বিহার থেকে আসা এক শ্রমিক ইন্ডিয়া টু়ডে টিভিকে বলেছেন, “ওরা শুধু পরীক্ষা নিরীক্ষাই করে যাচ্ছে। শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে না। আমাদের সঙ্গেও কোনও কথা বলতে চাইছে না নির্মাণকারী সংস্থা।” শ্রমিকদের অভিযোগ, নির্মাণকারী সংস্থা এবং সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার এই ঘটনার জন্য দায়ী। ১৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও উদ্ধার করা যায়নি আটকে থাকা ৪১ শ্রমিককে।

Advertisement

তাঁদের উদ্ধারের জন্য আমেরিকা থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতি, বিশেষ উদ্ধারকারী দল আনা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও কেন উদ্ধার করা যাচ্ছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত অন্য শ্রমিকদের মধ্যে। যদিও শনিবার বিকল্প পথে সুড়ঙ্গের উপরিভাগ খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর কাজ শুরু হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আরনল্ড ডিক্সের সঙ্গে। তিনি ইতিমধ্যেই ভারতের পথে পাড়ি দিয়েছেন। এক সংবাদমাধ্যমকে সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ বলেন, “ভারতে যাচ্ছি। ৪০ জনকে উদ্ধার করতেই হবে। উত্তরকাশীতে থাকা আমার দলের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। কী ভাবে নিরাপদে শ্রমিকদের বার করে নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।”

গত ১২ নভেম্বর ভেঙে পড়েছিল সুড়ঙ্গের একাংশ। আর ভিতরেই আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। তাঁদের কাছে পৌঁছনো না গেলেও কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ কিছুটা সরিয়ে জল, অক্সিজেন এবং খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন