Uttar Pradesh Crime

‘আমার বোনের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙলি কেন?’ রাগে দেওরের যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন বৌদি

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মৌইমার মালখানপুর গ্রামের বাসিন্দা রাম আসার। গত ১৬ অক্টোবর নিজের ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রামের ছোট পুত্র উমেশকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৩০
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বোনের সঙ্গে যে তাঁর দেওর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, তা জানতেই না মঞ্জু। পরিবারে যখন জানাজানি হয়, তখন কেউই দু’জনের বিয়েতে রাজি ছিল না। শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে অন্য মহিলার প্রেমে পড়েন মঞ্জুর দেওর উমেশ। বোনকে অবসাদে যেতে দেখে সেই দেওরের যৌনাঙ্গ কেটে ‘শাস্তি’ দিলেন মঞ্জু!

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মৌইমার মালখানপুর গ্রামের বাসিন্দা রাম আসার। গত ১৬ অক্টোবর নিজের ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রামের ছোট পুত্র উমেশকে। জানা গিয়েছে, ওই দিন রাতে চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে বাড়ির লোকেরা দেখেন ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন উমেশ। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। আর তাঁর যৌনাঙ্গ শরীর বিচ্ছিন্ন।

আহত অবস্থায় উমেশকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। কে বা কারা, এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা তাৎক্ষণিক ভাবে জানা সম্ভব হয়নি। থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে ঘটনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।

Advertisement

তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, উমেশের দাদা উদয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মঞ্জুর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উমেশ মঞ্জুর বোনের প্রতি আকৃষ্ট হন। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু দু’জনের এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি উমেশের পরিবার। একই পরিবারে দুই বোনের বিয়েতে রাজি হয়নি। তার পরেই সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন উমেশ। যদিও তা মেনে নিতে পারেননি মঞ্জুর বোন। মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি।

বোনের এই অবস্থায় বিচলিত হয়ে পড়েন মঞ্জু। দেওরের উপর রাগ জন্মায়। পুলিশের অনুমান, সেই রাগ থেকেই দেওরের উপর প্রতিশোধ নিতে যান মঞ্জু।

পুলিশের দাবি, ১৬ অক্টোবর রাতে সকলে যখন ঘুমিয়ে পড়েন, তখন রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি নিয়ে উমেশের ঘরে যান মঞ্জু। তার পর অতর্কিতেই হামলা করেন। একাধিক বার ছুরি দিয়ে আঘাত করেন এবং শেষে যৌনাঙ্গ কেটে নেন। উমেশের চিৎকার শুনে পরিবারের অন্যেরা যখন পৌঁছোন ঘটনাস্থলে, তখন ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান মঞ্জু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement