India-Pakistan tensions

সীমান্ত পেরিয়ে বন্দি! নাগপুরের মহিলাকে ফেরাল পাকিস্তান, চর নয় তো? জেরা করছে পুলিশ

সুনীতা নাগপুরের বাসিন্দা। তিনি পেশায় নার্স ছিলেন। এখন বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাপড়ও বিক্রি করেন। গত ১৪ মে কার্গিলের গ্রাম থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। সেখানে একটি অতিথিবাসে ছিল তাঁর ১২ বছরের পুত্র।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ ১৫:৪৪
Share:

সুনীতা জামগাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।

কার্গিলের এক গ্রাম থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন নাগপুরের এক মহিলা। সেখানে আটক হয়েছিলেন। সুনীতা জামগাড়ে নামে সেই মহিলাকে শনিবার বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী)-এর হাতে তুলে দিল পাকিস্তান। কার্গিলের হুন্ডারমান গ্রামের এক অতিথিশালায় নিজের ১২ বছরের পুত্রকে রেখেই সপ্তাহ কয়েক আগে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের চরেদের সঙ্গে সুনীতার কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুনীতার পরিবারের দাবি, তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাও চলছে।

Advertisement

সুনীতা নাগপুরের বাসিন্দা। তিনি পেশায় নার্স ছিলেন। এখন বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাপড়ও বিক্রি করেন। গত ১৪ মে কার্গিলের গ্রাম থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। সেখানে একটি অতিথিবাসে ছিল তাঁর ১২ বছরের পুত্র। পরে পাকিস্তান ভূখণ্ডে তাদের সেনার হাতে আটক হন। কী ভাবে তিনি সেখানে গেলেন, কেন গেলেন, সেই প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। লাদাখ পুলিশের ডিজি (ডিরেক্টর জেনারেল) এসডি সিংহ জামেওয়াল সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-কে জানিয়েছিলেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে দু’-এক জন পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল সুনীতার।

সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নাগপুরের (জ়োন ৫)-এর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নিকেতন কদম। সুনীতা নাগপুরের বাসিন্দা বলে সেখানকার থানায় তাঁর নিখোঁজ হওয়ার মামলা দায়ের হয়েছে। ডিসি কদম বলেন, ‘‘নাগপুর পুলিশ তাঁকে হেফাজতে পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তিনি চরবৃত্তি বা অন্য কোনও বেআইনি কাজে জড়িত ছিলেন কি না, আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে।’’ কদম আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানে আটক হন সুনীতা। তাঁকে বিএসএফের হাতে তুলে দেন পাকিস্তানি রেঞ্জাররা। বিএসএফ সুনীতাকে অমৃতসর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ বার তাঁকে ফেরাতে অমৃতসরে পাঠানো হয়েছে নাগপুর পুলিশের একটি দল। ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশ থেকে পাকিস্তানে বা ও দেশ থেকে এখানে কেউ এলে তাঁদের দেশের হাতে তুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে। ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে তা করা হয়। সুনীতার পরিবার দাবি করেছে, তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাও চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement