প্রতীকী ছবি।
গুজরাতে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুর এবং এক আত্মীয়রে বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁকে ভয় দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে গিয়েছেন শ্বশুর এবং ওই আত্মীয়। তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তার পরেও অত্যাচার থামেনি। শ্বশুর এবং আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম, এই অভিযোগ তুলে শ্বশুর তাঁকে ধর্ষণ করেন। তার পর এক আত্মীয়ও তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। তাঁর স্বামী সব কিছু জেনেও চুপ করে ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনা যাতে কেউ জানতে না পারে, তার জন্য তাঁকে ক্রমাগত হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল মহিলাকে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয়েছিল মহিলার। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করা শুরু করেন। সন্তান না আসায় চিকিৎসা করাতে বলা মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে। তখন মেডিক্যাল রিপোর্টে দেখা যায়, তাঁর স্বামী সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম। তার পর দম্পতি আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেই পদ্ধতিও সফল হয়নি। তার পর মহিলা সন্তান দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাতে আপত্তি জানান।
মহিলার অভিযোগ, ঘরে তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। একাই ছিলেন। তখন শ্বশুর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। স্বামীকে সে কথা জানান। কিন্তু তিনি মুখ বন্ধ করে রাখতে বলেন। সেই সুযোগে শ্বশুর তাঁকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন। তাতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা না হওয়ায় এক আত্মীয়কে দিয়ে ধর্ষণ করানো হয়। তিনিও লাগাতার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তার পরেও অত্যাচার থামেনি বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, শ্বশুর এবং মহিলার আত্মীয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার শ্বশুর এবং আত্মীয়ের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। বয়ান নেওয়া হয়েছে নির্যাতিতার। তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।