প্রতীকী ছবি।
তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সেই ঘটনার পর দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা অভিযুক্ত। পুলিশের কাছে গেলেও ঠিক মতো সহযোগিতা পাচ্ছেন না। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কেন এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, কেন তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি, পুলিশ এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে এ বার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারি বাসভবনের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে চেষ্টা করলেন এক তরুণী। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে নিরাপত্তায় থাকা কর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলেন।
ঘটনাটি শুক্রবারের। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৪ জুন গাজ়িয়াবাদের শালিমার গার্ডেন থানা এলাকায় ধর্ষণের একটি অভিযোগ দায়ের করতে যান তরুণী। নির্যাতিতার দাবি, তাঁর অভিযোগ নিতে চাননি কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। তার পরই ওই তরুণী হাইক কোর্টের দ্বারস্থ হন। হাই কোর্টের নির্দেশে ২৫ দিন পর পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ, তার পরেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। নির্যাতিতার দাবি, পুলিশের কাছে এ বিষয়ে বার বার জানতে চাইলেও কোনও সহযোগিতা পাননি। তার পরই তিনি সমাজমাধ্যমে হুমকি দেন, যদি পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ না করে, তাঁকে গ্রেফতার করতে না পারে, তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে আত্মহত্যা করবেন।
বার বার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা এবং সুবিচার না পাওয়ায় হতাশ হয়ে গাজ়িয়াবাদ থেকে লখনউয়ে যান নির্যাতিতা। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর বাসভবনের সামনে হাজির হন তিনি। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন দাহ্য তরল। আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে নিজের গায়ে ওই তরল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই নিরাপত্তাকর্মীরা নির্যাতিতাকে ধরে ফেলেন। তার পর তাঁকে স্থানীয় থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে গাজ়িয়াবাদের শালিমান গার্ডেন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায় লখনউয়ে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।