শি চিনফিং-এর সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।— ফাইল ছবি
কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামিকাল আস্থানায় শুরু হচ্ছে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর দু’দিনের শীর্ষ সম্মেলন। শুক্রবার সেখানেই পার্শ্ব বৈঠকে মুখোমুখি হওয়ার কথা মোদী এবং শি-এর।
বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা রহস্য করে বলছেন, এই প্রথম ড্রাগনের ডেরায় পা রাখছে ভারত! এই মন্তব্যের কারণ, চিনের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া এই বহুপাক্ষিক (এখনও পর্যন্ত ৬টি দেশের) গোষ্ঠীতে এই প্রথম সদস্যপদ পেতে চলেছে ভারত। তবে শুধু ভারত একাই নয়, সদস্য হতে চলেছে পাকিস্তানও। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘আমাদের দোরগোড়ায় বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই শক্তিশালী গোষ্ঠী এত দিন কাজ করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে এই দু’টি ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে লাভবান হব।’’ কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে ভারতের সদস্যপদ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীরের উপর দিয়ে অর্থনৈতিক করিডর— বিভিন্ন ক্ষেত্রেই চিনের সঙ্গে সম্পর্কে সংঘাত বাড়ছে ভারতের। শুক্রবার যখন শি–এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকে বসবেন মোদী তখন তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও একটি মারাত্মক অভিযোগ। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা সে দেশের প্রতিরক্ষা দফতরের একটি বার্ষিক রিপোর্ট আজ প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন: আজ ভোট ব্রিটেনে, অল্প এগিয়ে টেরেসা
তাতে বলা হয়েছে সামরিক ঘাঁটি বানানোর জন্য পাকিস্তানের কয়েকটি জায়গা বেছেছে বেজিং। সে সব জায়গায় সামরিক ঘাঁটি বানানোর পাশাপাশি এশিয়ায় তার দীর্ঘ দিনের বন্ধু দেশগুলিতেও নিজের বাহুবল বাড়ানোর জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বেজিংয়ের। সামরিক ঘাঁটি বানানোর জন্য চিনের প্রথম পছন্দ পাকিস্তান। চিন যে ভারত মহাসাগর আর তার লাগোয়া এলাকাগুলিকে কড়া নজরে রেখেছে তা বোঝাতে গিয়ে পেন্টাগনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘চিন নিয়মিত ভাবে ভারত মহাসাগরে তার টহলদারি চালিয়ে যাচ্ছে ডুবোজাহাজ দিয়ে। এটা শুধুই চিনের নিরাপত্তার স্বার্থে নয়, ভারত মহাসাগরে তার বাহুবল বাড়ানোর জন্যও। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে চিনের বক্তব্য জানতে চাইবেন ভারতীয় শীর্ষ নেতৃত্ব।