ইশরাত মামলায় জামিন দুই পুলিশ অফিসারের

ইশরাত জহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় জামিন পেলেন দুই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ডিজি বানজারা এবং পিপি পাণ্ডে। বিশেষ সিবিআই আদালতের রায়ে জামিন মিলেছে তাঁদের। সন্ত্রাস দমন শাখার তৎকালীন প্রধান ডিজি বানজারা ইশরাত জহান, তুলসীরাম প্রজাপতি মামলায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত ছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৭
Share:

ইশরাত জহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় জামিন পেলেন দুই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ডিজি বানজারা এবং পিপি পাণ্ডে। বিশেষ সিবিআই আদালতের রায়ে জামিন মিলেছে তাঁদের।

Advertisement

সন্ত্রাস দমন শাখার তৎকালীন প্রধান ডিজি বানজারা ইশরাত জহান, তুলসীরাম প্রজাপতি মামলায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল সোহরাবুদ্দিন সংঘর্ষ মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর পদ থেকে বরখাস্ত হয়ে যান এবং গ্রেফতারও হন তিনি। আট বছর কারাবাসের পর আজ জামিন মিললেও আদালত জানিয়েছে গুজরাতে প্রবেশাধিকার নেই তাঁর। নেই দেশ ছাড়ার অনুমতিও। প্রত্যেক শনিবার করে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

২০১৩ সালে আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর থেকে জেলবন্দি ছিলেন ইশরাত জহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় আর এক অভিযুক্ত, পিপি পাণ্ডে। ঘটনার সময় গুজরাত পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদে ছিলেন তিনি। আদালতে পাণ্ডের কৌঁসুলি জানান, সিবিআই তদন্তে প্রমাণ হয়েছিল ইশরাত সংঘর্ষে সমান ভাবে অভিযুক্ত গুজরাত পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখা। কিন্তু গোয়েন্দা শাখার কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

Advertisement

শুনানির পর তিন লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে পিপি পাণ্ডের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে ডিজি বানজারার মতোই পাণ্ডেকেও দেশ ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতি বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

২০০৫ সালের ১৫ জুন আমদাবাদ শহরের বাইরে অপরাধ দমন শাখার একটি দলের গুলিতে নিহত হন ১৯ বছরের কলেজ ছাত্রী ইশরাত জহান ও তাঁর তিন সঙ্গী প্রাণেশ পিল্লাই, আমজাদ আলি রানা ও জিশান জোহর। গুজরাত পুলিশের দাবি ছিল, পাক জঙ্গি দল লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইশরাতরা। গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের, এ-ও দাবি করে পুলিশ। কিন্তু তদন্তের পরে ওই মামলায় পিপি পাণ্ডে ও ডিজি বানজারা-সহ একাধিক পুলিশ এবং গোয়েন্দাকে চার্জশিট দেয় সিবিআই। জানায়, ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে ইশরাত ও তাঁর সঙ্গীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন