করিমগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে জমি জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। কাছাড়েও দু’দেশের প্রতিনিধিরা যৌথ ভাবে সীমানা-পিলার পরিদর্শন করেছেন। এ নিয়ে বরাকের মানুষ উৎকণ্ঠায়। আশঙ্কা ছড়িয়েছে, ইউপিএ আমলের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে জমি হস্তান্তর করতে চলেছে ভারত। করিমগঞ্জ শহরে কাঁটাতারের বেড়া বসানো হবে বাংলাদেশের আপত্তিকে গুরুত্ব দিয়েই। প্রশাসন এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।
দু’দিনের ব্যবধানে দু’টি জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে জমি জরিপের কাজ হয়েছে। কাছাড়ের কাটিগড়ায় দু’দেশের সীমান্ত-পিলার পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের ‘ল্যান্ড সেটেলমেন্ট’ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল আব্দুল মান্নান। ভারতের তরফে সেখানে হাজির ছিলেন অসমের সংশ্লিষ্ট দফতরের ডিরেক্টর তপনচন্দ্র গোস্বামী।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে দেড়শো মিটার দূরে কাঁটাতারের বেড়া বসানো হলে, জেলা সদরের অনেকটা মূল ভূখণ্ডের বাইরে চলে যাবে। পুরসভার চারটি এলাকার মধ্যে দিয়েও ওই বেড়া যাবে। তাতে প্রধান বাজার-সহ জাহাজ বন্দর, গুদাম, জেটি দেশের অন্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
তবে, এ নিয়ে ভারত সরকার শুরু থেকেই বাংলাদেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তার জেরে শহরের সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা বাদ দিয়ে পুরো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এমনই পরিস্থিতিতে নতুন করে জমি জরিপের কাজে উদ্বিগ্ন করিমগঞ্জবাসী। তাঁরা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জমি হস্তান্তর চুক্তির বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাজেন্দ্র সিংহ পঙ্কজ জানিয়েছেন, পুরনো অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালে, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যেতেও তাঁরা পিছপা হবেন না।