মোদী-মুখ সামনে রেখেই ঝাড়খণ্ডে এগোচ্ছে বিজেপি

স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আর নির্বাচনে জেতার ক্ষমতা রয়েছেএমন ব্যক্তিদেরই বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করতে চাইছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ঝাড়খণ্ডে দলীয় রণ-কৌশল ঠিক করতে এসে রাজ্য নেতাদের স্পষ্ট করে এই বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ তথা নরেন্দ্র মোদীর দূত ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

রাঁচি শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:০৪
Share:

স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আর নির্বাচনে জেতার ক্ষমতা রয়েছেএমন ব্যক্তিদেরই বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করতে চাইছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ঝাড়খণ্ডে দলীয় রণ-কৌশল ঠিক করতে এসে রাজ্য নেতাদের স্পষ্ট করে এই বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ তথা নরেন্দ্র মোদীর দূত ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। এ রাজ্যে বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তরাখণ্ডের নেতা ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতের উপরেই।

Advertisement

রবিবার রাঁচি পৌঁছে রাওয়াত রাজ্য নেতাদের স্পষ্ট দু’টি কথা জানিয়েছেন। এক: প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। দুই: নির্বাচনে জেতার ক্ষমতা রাখেন, এমন ব্যক্তিকেই টিকিট দেওয়া হবে। রাওয়াত আজ বলেন, “মোদীজি সব পাপ ধুয়ে দেবেন এটা হতে পারে না। প্রার্থীকেও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির হতে হবে। তাই আমার উপরে নির্দেশ রয়েছে, প্রার্থীর ভাবমূর্তি নিয়ে যেন কোনও প্রশ্ন না থাকে।” উল্লেখ্য, রাজ্যে এই মুহূর্তে একাধিক বিধায়ক-সহ অনেক বিজেপি নেতা আছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্যসভার ভোটকে ঘিরে উদ্ভুত ঘুষ-কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ছাড়াও অন্যান্য অভিযোগ রয়েছে। ফলে এবারে তাঁদের আর টিকিট দেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

ঝাড়খন্ড এমনই রাজ্য যা জন্মের ১৪ বছর পরেও কোনও স্থায়ী সরকার দেখেনি। মহারাষ্ট্র আর হরিয়ানা দখলের পর এ বার মোদী-শাহ জুটির লক্ষ্য ঝাড়খণ্ড। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ১৪টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন বিজেপির দখলে। পাঁচ মাস আগের লোকসভা আসনের ফলাফলের নিরিখে রাজ্যের ৮১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫৯টিতে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। পাঁচ মাসে সেই ফলাফল বিশেষ এ দিক-ও দিক না হওয়ারই কথা। তবু সতর্ক বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ ঝাড়খণ্ড রাজনীতিতে দুর্নীতির অধিক প্রকোপ। সেই কারণেই নির্বাচন বিধানসভার হলেও নিজের হাতে রাশ ধরেছে দিল্লি। আপাতত, রাজ্য নেতাদের দায়িত্ব দিল্লিকে তথ্য সরবরাহ করা। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার আগে তৃণমূল স্তরের কর্মী আর সাধারণের মন বুঝতে রাজ্য নেতাদের ৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রেই যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছট উৎসবের পরেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আঞ্চলিক স্তরের সব তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র প্রদীপ সিন্হা জানিয়েছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র বা হরিয়ানার মতোই ঝাড়খণ্ডেও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা না করেই লড়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিয়েছেন বলে বিজেপি শিবিরের ইঙ্গিত। বিজেপি-র মুখ হবেন সেই নরেন্দ্রভাই দামোদরভাই মোদীই। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে দলীয় সভায় এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য রাজ্য নেতাদের অভ্যন্তরীণ টানাপড়েন দেখেন। ‘অব কি বার/অর্জুন মুন্ডা সরকার’-ইত্যাদি স্লোগানও শোনেন। এর পর প্রকাশ্য সমাবেশেই তিনি জানিয়ে যান, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, না হবেন ভুলে যান। লড়াইয়ের মুখ হবে একটাই নরেন্দ্র মোদী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন