রূপান্তরকামীকে বধূর স্বীকৃতি

ছেলে সমকামী। প্রথমটায় মেনে নিতে পারেননি বাবা-মা। পছন্দের পাত্রীর সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছিল। তবে ছেলের বিয়ের ঠিক এক সপ্তাহ আগে সিদ্ধান্ত পাল্টায়। তাঁদের পছন্দে নয়, বরং নিজের ইচ্ছেতেই চলুক ছেলে। তড়িঘড়ি বিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩৫
Share:

ছেলে সমকামী। প্রথমটায় মেনে নিতে পারেননি বাবা-মা। পছন্দের পাত্রীর সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছিল। তবে ছেলের বিয়ের ঠিক এক সপ্তাহ আগে সিদ্ধান্ত পাল্টায়।

Advertisement

তাঁদের পছন্দে নয়, বরং নিজের ইচ্ছেতেই চলুক ছেলে। তড়িঘড়ি বিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এই পরিবার ঠিক করে সমাজ যা-ই বলুক, ছেলের পছন্দেই মত দেবেন তাঁরা। অগত্যা ২৯ বছরের সাদাব হাসানের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় তাঁর ন’বছরের প্রেমিকা সঞ্জনার। রূপান্তরকামী সঞ্জনা সাদাবের থেকে বয়সে বড়। তবে সে সব নিয়ে আর মাথা ঘামাচ্ছেন না কেউ। সঞ্জনা এখন মহিলাদের পোশাকই পরেন।

সঞ্জনা জানালেন, তিনি ভাবতেই পারছেন না, তাঁকে সত্যি সত্যিই পুত্রবধূর সম্মান দিচ্ছে সাদাবের পরিবার। পরিবারের আর পাঁচটা বিয়ের অনুষ্ঠানের মতোই তাঁর বাবা -মা-ভাই তাঁর বিয়ের আয়োজনও করছেন হাসিমুখে। সঞ্জনার কথায়, “সাদাবের বাবা-মা আমাকে ফোন করে দেখা করতে চেয়েছিলেন। বললেন, ওঁরা আমাকে পুত্রবধূ করতে চান। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারিনি।”

Advertisement

বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত সাদাব বলেন, “আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। আমাদের ধারণাগুলো একটু গোঁড়া। আপত্তি ঝেড়ে ফেলে সঞ্জনার পরিবারও কিন্তু আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।” বিয়ের দিন এখনও ঠিক হয়নি। তবে সাদাব জানালেন, ঈদের পরেই তাঁরা নিকাহ সেরে ফেলবেন।

বিয়েতেই শেষ নয়। সাদাবের ছোট্ট ভাইঝিকে নবদম্পতির কাছে থাকতে পাঠাবেন বলে ঠিক করেছেন তাঁর দাদা-বৌদি। কাকা-কাকিমাই বরং মানুষ করবেন তাকে। সঞ্জনা বলেন, “সেই ছোটবেলা থেকে নিজের সঙ্গে লড়াই করেছি। আর পাঁচটা সাধারণ ছেলে মেয়ের মতো নই বলে স্কুলেও কথা শুনেছি। সাদাবের সঙ্গে দেখা হয়ে জীবনটা পাল্টে গিয়েছে। আর এ বার তো স্বামী-সন্তান সবই পাচ্ছি। ঈশ্বরকে আর কী বলে ধন্যবাদ দেব!”

সমকামী-অধিকার নিয়ে সরব হর্ষ বর্ধন

সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি

সমকামীদের নাগরিক অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। বৃহস্পতিবার দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেন, “বাকিদের মতো সমকামীদেরও নাগরিক অধিকার রয়েছে। তাঁদের অধিকার দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।” যদিও বিজেপির এই নেতা এই নিয়ে সাংবাদিকদের অন্য প্রশ্নের উত্তর দেননি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বাতিল করা, সমকামী প্রশ্নে বিজেপির দলীয় অবস্থান নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তা এড়িয়ে যান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন