লালু-কন্যার দাবি ওড়াল হার্ভার্ড

লালুপ্রসাদের মেয়ের ‘গল্প’ উড়িয়ে দিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়! মিসা ভারতী দাবি করেছিলেন, গত সপ্তাহে মার্কিন মুলুকের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি সম্মেলনে তিনি বক্তৃতা দিয়েছেন। ‘ইন্ডিয়া কনফারেন্স’ নামে ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়ানো ছবি তিনি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ‘আপলোড’ করেন। তাতে লেখেন ‘বন্ধুরা, ৭-৮ মার্চের সম্মেলনে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৫ ০৩:২৮
Share:

মিসার সেই ছবি।

লালুপ্রসাদের মেয়ের ‘গল্প’ উড়িয়ে দিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়!

Advertisement

মিসা ভারতী দাবি করেছিলেন, গত সপ্তাহে মার্কিন মুলুকের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি সম্মেলনে তিনি বক্তৃতা দিয়েছেন। ‘ইন্ডিয়া কনফারেন্স’ নামে ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়ানো ছবি তিনি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ‘আপলোড’ করেন। তাতে লেখেন ‘বন্ধুরা, ৭-৮ মার্চের সম্মেলনে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্ট জনদের সামনে আমাদের কথা তুলে ধরতে পেরে ভাল লাগছে। ওই আমন্ত্রণ শুধু আমার নয়, যাঁরা গতানুগতিক রাজনীতির ব্যকরণ বদলে দিতে চান তাঁদের সকলের। যুবসমাজের ভূমিকা নিয়ে বক্তৃতার সময় ছবিটা তোলা।’

বিহারের কয়েকটি সংবাদপত্রে মিসার ছবি-সহ প্রতিবেদন ছাপা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিবৃতি জারি করে হার্ভার্ড। তাতে জানানো হয়, সম্মেলনে দর্শক হিসেবেই মিসা ভারতীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বক্তাদের কোনও প্যানেলে তিনি ছিলেন না। বক্তৃতা দেওয়ার জন্য তাঁকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। টিকিট কেটেই তিনি দর্শকাসনে হাজির ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কেনেডি স্কুল অব কমিউনিকেশনস্’ বিভাগের তরফে এই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, মিসা সেখানে কোনও বক্তৃতা দেননি, তাই আমেরিকার কোনও সংবাদপত্রে তাঁর খবর ছাপা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও তাঁর ছবি বা ভিডিও নেই।

Advertisement

তা হলে কী ভাবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন লালু-তনয়া? কয়েকটি শিবিরের দাবি, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে পোডিয়ামে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন বছর চল্লিশের মিসা। পরে সেগুলি বিহারের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দফতরে পাঠিয়ে দেন।

বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মিসা। তাঁর দাবি, তিনি ওই অনুষ্ঠানে বক্তা ছিলেন সেই দাবি কখনও করেননি। ওই পোডিয়ামের দাঁড়িয়ে ছবি তোলার রেওয়াজ আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক পড়ুয়া ও দর্শকের এই ধরনের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। হয়তো তাঁর ছবি দেখে সংবাদমাধ্যমের একাংশ ভেবে নিয়েছিল, বক্তাদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। মিসার কথায়, “বিষয়টি জানতে পেরেই আমি ছবি সরিয়ে ফেলি। আয়োজকদেরও বিষয়টি জানিয়ে দিই। কিন্তু কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে অনর্থক হইচই করেছেন।” লালু-তনয়ার মতে, নয়া সংবাদমাধ্যমের যুগে রাজনীতির সমস্যার এক নজির এই ঘটনা। এখন যে কোনও ঘটনাকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নিজেদের পছন্দমতো চেহারা দেওয়া যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন