মুসলিম ভোট যাতে ভাগ না হয়, সে জন্য কিষাণগঞ্জের জেডিইউ প্রার্থী আখতারুল হক ওই আসনেরই কংগ্রেস-আরজেডি জোটের প্রার্থীর পক্ষে নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিলেন। আখতারুলের এই সিদ্ধান্তে নীতীশ কুমার বেশ অস্বস্তিতে পড়লেন বলেই মনে করা হচ্ছে। দলের রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ বলেন, “আখতারুল দলকে চিঠি দিয়ে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা এখনই বলতে পারব না।” কিষাণগঞ্জের কোচাধামন বিধানসভার আরজেডি বিধায়ক আখতারুল মাস খানেক আগে জেডিইউয়ে যোগ দেন। তারপরেই তাঁকে কিষাণগঞ্জে প্রার্থী করেন নীতীশ।
আগামী ২৪ এপ্রিল কিষাণগঞ্জে ভোট। প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৯ এপ্রিল। ফলে সরকারি ভাবে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের কোনও সুযোগ আখতারুলের নেই। তাই তিনি বিবৃতি দিয়ে আজ জানান, এই কেন্দ্র থেকে তিনি ভোটে লড়ছেন না। বিজেপিকে ঠেকাতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। জেডিইউ প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই কেন্দ্রে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে এ বার লড়াই সরাসরি। এখানে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ জায়সবাল।
এই কেন্দ্রের ৬৭ শতাংশ মুসলিম ভোট এখানকার ভোট ভাগ্য নির্ধারণ করে। কিষাণগঞ্জের বর্তমান কংগ্রেস সাংসদ মৌলানা আসারুল হক এ বারেও প্রার্থী। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, জেডিইউয়ের এই প্রার্থী কংগ্রেসেও যোগ দিতে পারেন। কাল এখানে রাহুল গাঁধীর সভা। যদিও আখতারুল বলেছেন, “প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিলেও আমি জেডিইউয়েই আছি।” কেন তিনি সরে দাঁড়ালেন এর উত্তরে তিনি বলেন, “গুজরাত দাঙ্গার মুখ আমরা দেখতে চাই না। তাই মুসমিল ভোট এককাট্টা রাখতে সরে দাঁড়িয়েছি।”