Creative City of Gastronomy

‘বাহারি স্বাদের শহর’ হিসাবে লখনউ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে! শহরের কোথায় পাবেন সেরা কবাব-বিরিয়ানি?

বিরিয়ানি থেকে কবাব, মিষ্টি থেকে রকমারি চাট— রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাহারি খানাপিনার ঠেক অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। তবে শীতের ছুটিতে লখনউয়ে ঘুরতে গেলে, কোন কোন খাবারের বিপণিতে ঢুঁ না মারলে নবাবের শহরে সফরটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, রইল এমন ৫ জায়গার হদিস।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:০১
Share:

নবাবের শহরে কোথায় পাবেন সেরা কবাব-বিরিয়ানি? ছবি: সংগৃহীত।

ইউনেস্কো স্বীকৃত ‘বাহারি স্বাদের শহরে’র তালিকায় এ বার জায়গা করে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনউ। সম্প্রতি বিশ্বের ৫৮টি শহরকে ‘সৃজনশীল শহর’-এর তালিকায় যুক্ত করেছে ইউনেস্কো। এর মধ্যে লখনউ অন্যতম। এর আগে ভারতের হায়দরাবাদকে বাহারি স্বাদের শহর হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এ বার সেই তালিকায় জুড়ল লখনউয়ের নাম।

Advertisement

নবাবের শহর লখনউয়ে ঘুরতে গেলে সেখানকার খাবার চেখে না দেখলেই নয়। খাদ্যরসিকদের জন্য এটি স্বপ্নের শহর। লখনউয়ের প্রতিটি গলির পাশ দিয়ে হাঁটলেই নাকে আসবে খাবারের সুবাস। বিরিয়ানি থেকে কবাব, মিষ্টি থেকে রকমারি চাট— রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাহারি খানাপিনার ঠেক অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। তবে শীতের ছুটিতে লখনউয়ে ঘুরতে গেলে, কোন কোন খাবারের বিপণিতে ঢুঁ না মারলে নবাবের শহরে সফরটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, রইল এমন ৫ জায়গার হদিস।

রয়্যালস্‌ ক্যাফে: লখনউ ঘুরতে গেলে চাট তো খেতেই হবে। লখনউয়ের রয়্যালস্‌ ক্যাফের চাট বেশ জনপ্রিয়। এখানকার বাস্কেট চাট এক বার খেলে তা ভোলার নয়। আলু টিক্কি, দই বড়া, পাপড়ি, দই, ছোলা, নানা রকম চাটনি ও মশলা আলুর তৈরি বাস্কেট বা ঝুড়ির ভিতর পরিবেশন করা হয়। এক চামচ মুখে পুরলেই টক, মিষ্টি, ঝালের বিস্ফোরণ হবে আপনার মুখে। দাম পড়বে ২৫০ টাকা। হজরতগঞ্জে মহাত্মা গান্ধী মার্গের এই দোকানটি সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা অবধি খোলা থাকে।

Advertisement

বাস্কেট চাট। ছবি: সংগৃহীত।

ইদ্রিস বিরিয়ানি: লখনউয়ের এই দোকানটি বিরিয়ানির অন্যতম প্রাচীন দোকান। বাহারি কোনও রেস্তরাঁ নয়, রাস্তার ধারে ছোট এই খাবারের দোকানের বিরিয়ানির স্বাদ নিতে হলে ঘণ্টা খানেক লাইনে দাঁড়াতে হবে। তাই হাতে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে যাওয়াই ভাল। এখানকার চিকেন ও মটন বিরিয়ানি, দু’টিই সমান জনপ্রিয়। সুস্বাদু ইয়াখনির (মশলাদার ঝোল) মধ্যে চাল ফুটিয়ে এই বিরিয়ানি তৈরি করা হয়। খুব বেশি মশলাদার না হওয়ায়, সকলেরই পছন্দ এখানকার বিরিয়ানি। জহোরি মোল্লা, রাজাবাজার থানার কাছের এই দোকানটির বিরিয়ানি বিকেল ৪টে থেকে রাত ১০টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এক জনের খাবারের খরচ পড়বে প্রায় ২০০ টাকা।

লখনউয়ের অলিগলিতে বিক্রি হয় বিভিন্ন স্বাদের বাহারি কবাব। ছবি: সংগৃহীত

তুন্ডে কবাবি: কবাবপ্রেমী হলে লখনউয়ের এই ঠিকানায় যেতে ভুলবেন না যেন। তুন্ডে কবাব কিংবা গলৌটি কবাবের জন্ম এই লখনউতেই। এই শহরের অলিগলিতে বিক্রি হয় গলৌটি কবাব। তবে সেরা স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে এই ঠিকানায়। সেখানে রুমালি রুটি কিংবা মোগলাই রুটির সঙ্গে নরম তুলতুলে মটন গলৌটি কবাব মুখে দিলে কোথায় যে মিলিয়ে যাবে তা বোঝার উপায় নেই। সঙ্গে ধনেপাতা-পুদিনার চাটনি আর পেঁয়াজ কবাবের স্বাদ যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। এ স্বাদ এক বার পেলে মনে থেকে যাবে বহু দিন। এক প্লেট (৪ পিস) গলৌটি কবাবের দাম পড়বে ১৩০ টাকা। খেয়ালি গঞ্জের মোহনমার্কেটের এই দোকানটি সকাল ১১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

লখনউ ‘স্পেশ্যাল’ বিরিয়ানি। ছবি: সংগৃহীত।

ওয়াহিদ বিরিয়ানি: ১৯৫৫ সাল থেকে এই দোকানের রমরমা লখনউ জুড়ে। এখানকার চিকেন বিরিয়ানির স্বাদ ভোলার নয়। কলকাতার মতো আলু, ডিম না থাকলেও এখানকার বিরিয়ানি বেশ সুগন্ধি ও মশলাদার। অর্ধেক প্লেট চিকেন বিরিয়ানির দাম পড়বে ১১০ টাকা। সঙ্গে পাবেন রায়তা। যদিও নরম তুলতুলে মাংসের টুকরো দিয়ে তৈরি বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য আলাদা করে কোনও পদের প্রয়োজন পড়বে না। তবে ইচ্ছে করলে চিকেন মশালা ও চিকেন টেংরি কবাব চেখে দেখতেই পারেন। সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই দোকানটি খোলা থাকে। তুন্ডে কবাবি দোকানের ঠিক পাশেই এই রেস্তরাঁটি খুঁজে পাবেন আপনি।

রহিম’স কুলচা নেহারি: মটন নেহারি খেতে হলে লখনউয়ের এই ঠিকানায় ঢুঁ মারতেই হবে। এখানকার নেহারির স্বাদ এক বার চেখে দেখলে বহু দিন মনে থেকে যাবে। এর সঙ্গে গরমাগরম কুলচা পেলে তো কথাই নেই। তবে নরম তুলতুলে কুলচা নয়, এখানে পাবেন কড়কড়ে খোমানি রুটির মতো কুলচা। শাহগঞ্জের আকবরি গেটের এই দোকানটি সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে ফুল প্লেট মটন নেহারির দাম ৩০০ টাকা। এ ছাড়াও এখানকার বিরিয়ানি, চিকেন রোস্ট, চিকেন আফগানিও বেশ জনপ্রিয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement