আপনি কি প্রায়ই মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন? ওষুধ খেয়ে বা আয়ুর্বেদিক টোটকায় হয়তো সেই সময়ের মতো স্বস্তিও মেলে। কিন্তু বারবারই ফিরে ফিরে আসে। অধিকাংশ সময়ই মাইগ্রেনের কারণ বড় কোনও শারীরিক সমস্যা নয়, আমাদের কিছু ছোটখাট অভ্যাস। এ রকমই ১০ ছোটখাট কারণ জেনে নিন।
অফিসে কাজের চাপে কি মাঝে মাঝেই লাঞ্চ করা হয়ে ওঠে না? অনেক ক্ষণ পর বাড়ি গিয়ে খাবার খান? সময় মতো না খেলে বা অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকলে মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে।
শেষ কবে ছুটি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন? স্ট্রেস কাটিয়ে ডিটক্স করার জন্য ছুটি নেওয়া, বেড়াতে যাওয়া খুব জরুরি। যদি আপনি অনেক দিন বেড়াতে না গিয়ে থাকেন তা হলেও অতিরিক্ত স্ট্রেস মাথায় বসে মাইগ্রেন হতে পারে।
হঠাত্ করে এক্সারসাইজ করা শুরু করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা কমে যায়। ফলে মাইগ্রেন হয়। নিয়মিত এক্সারসাইজের রুটিন এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
প্রসেসড মিট বেশি খেলেও মাইগ্রেন হতে পারে। হট ডগ, বেকন, সালামি খাওয়ার অভ্যাস এই সমস্যার কারণে হতে পারে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন যাদের মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের মধ্য ৩৮ শতাংশই অ্যালকোহল সহ্য করতে পারেন না। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতে পারে রেড ওয়াইনে।
আপনি সারা দিনে পরিমাণ মতো জল পান করেন তো? দিনে অন্তত ৩ লিটার জল না খেলে ডিহাইড্রেশন থেকেও মাইগ্রেন হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন মাইগ্রেনের ঝুঁকি ৮১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।
মরসুম বদলের সময় মাথা যন্ত্রণার সমস্যায় ভোগেন অনেকে। বিশেষ করে মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি, নিম্নচাপের কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা হয়।
পিরিয়ডের সময় শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রার তারতম্যের কারণে মাইগ্রেনের সমস্যাও খুবই সাধারণ ঘটনা।
চড়া রোদ বা জোরালো আলোয় অনেকেরই মাথা দপদপ করে। এমনটা যদি আপনার হয় তা হলে কিছুক্ষণ আলো নিভিয়ে বা অন্ধকার কোনও জায়গায় গিয়ে চোখ বুজে বসে থাকুন।