খাঁটি সর্ষের তেল চেনার উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
যে তেলে স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করছেন, তাতেই যদি ভেজাল মেশানো থাকে? যে সর্ষের তেল দিয়ে সন্তানের জন্য সুস্বাদু পদ বানাচ্ছেন, সেটি যদি পাম অয়েল হয়? যতই স্বাস্থ্যকর উপাদান দিয়ে হেঁশেল ভরিয়ে তুলুন, তেল যদি খাঁটি না হয়, তা হলে প্রচেষ্টাই সার। তাই তিনটি সহজ উপায়ে বাড়িতে বসেই সর্ষের তেল পরীক্ষা করে নিন। দেখে নিন, যে তেল কিনে আনছেন, তা আদৌ নির্ভেজাল কি না।
সর্ষের তেলে ভেজাল শনাক্ত করার সহজ তিন পন্থা
ফ্রিজ ব্যবহার করে পরীক্ষা: একটি পাত্রে সর্ষের তেল ভরে সেটি ফ্রিজ়ারে তুলে রাখুন। বেশ খানিক ক্ষণ পরে (তরল জমাট বাঁধতে যতখানি সময় প্রয়োজন) ফ্রিজ খুলে পরীক্ষা করুন। যদি দেখা যায়, তেল হালকা জমাট বেঁধে আসছে, তা হলে বুঝবেন, সে তেল খাঁটি নয়। কারণ, সর্ষের তেল কখনওই জমাট বাঁধবে না। খাঁটি সর্ষের তেল সব সময়েই তরল থাকে। যদি পাম অয়েলের মতো জিনিস মেশানো থাকে, তা হলে এমন ঘটনা লক্ষ করা যেতে পারে। তা ছাড়া সাদা সাদা ছোপও দেখা যেতে পারে ভেজাল থাকলে।
রান্নার তেল আদৌ খাঁটি তো? ছবি: সংগৃহীত।
হাত দিয়ে পরীক্ষা: সর্ষের তেল কেনার পর কয়েক ফোঁটা দু’হাতের মাঝে নিয়ে ঘষতে হবে। যদি হাতে কোনও প্রকার রঙের ছাপ পড়ে, বা কৃত্রিম গন্ধ বেরোয়, তা হলে বুঝবেন, তেল খাঁটি নয়। সর্ষের বদলে কোনও সস্তা উপকরণের তেল ভরা হয়েছে অথবা তাতে কোনও কৃত্রিম পদার্থ মেশানো আছে। কারণ, খাঁটি তেল থেকে কখনওই রং বেরোবে না বা সুগন্ধ পাওয়া যাবে না। বরং সর্ষের তেলে কড়া ঝাঁঝ থাকে, যা থেকে চোখ জ্বালা করতে পারে।
নাইট্রিক অ্যাসিড ব্যবহার করে পরীক্ষা: এই পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজন নাইট্রিক অ্যাসিড। বাড়িতে ভেজাল শনাক্তকরণে রাসায়নিক ব্যবহার করতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। সমান পরিমাণ নাইট্রিক অ্যাসিড এবং সর্ষের তেল (ধরা যাক, দু’টিই ৫ মিলিলিটার) মিশিয়ে একটি পরিষ্কার টেস্ট টিউব বা কাচের পাত্রে ঢেলে নিন। ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে এর পর। তাতে যদি দেখা যায়, মিশ্রণের রং বদলে গিয়ে কমলা, হলুদ বা লাল হয়ে যাচ্ছে, তা হলে বোঝা যাবে, তা খাঁটি নয়। নির্ভেজাল তেল কখনও রং বদলাবে না।