সুবাসিত কেশরাশির টোটকা। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
প্রাচীন কাল থেকে কেশচর্চা এবং কেশসজ্জার সময়ে চুলে সুগন্ধি মাখার চল। কখনও সুগন্ধি ধোঁয়ার ছোঁয়া, কখনও বা সুগন্ধি তেলের স্পর্শ— চুলে সুবাস ছড়িয়ে পড়ত। এখন না আছে ধোঁয়া তৈরির সময়, না আছে তেল মালিশের সুযোগ। কিন্তু চুলের যত্নে এই একটি ধাপ যেন অবলুপ্ত না হয়ে যায়। চুল থেকে যখন হালকা সুগন্ধ ভেসে আসে, তখন কিন্তু আপনার উপস্থিতি আরও বেশি মোহময়, আবেদনময় হয়ে ওঠে। আর তাই এখন হেয়ার পারফিউমের বিক্রি বেড়েছে বাজারে। তবে অনেকেরই প্রশ্ন, পারফিউম মাখলে চুল খারাপ হবে না তো? কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়?
কী এই হেয়ার পারফিউম?
চুলের জন্য আলাদা সুগন্ধি ব্যবহার করছেন এখন অনেকেই। চুলকে সুবাসিত রাখে, পাশাপাশি ঔজ্জ্বল্য ও কোমলতাও বাড়ায়। এই কারণেই হেয়ার পারফিউম বা চুলের সুগন্ধি হয়ে উঠেছে কেশের যত্নের অংশ। তবে সব সংস্থার সামগ্রীতে চুলের উপকারী উপাদান থাকে, তা নয়। সঠিক পণ্য বেছে নিতে হবে। চুলের জন্য তৈরি এই বিশেষ সুগন্ধি সাধারণ পারফিউমের মতো নয়। এটি এমন ভাবে তৈরি হয়, যাতে চুলে সুগন্ধ থাকে, কিন্তু শুষ্ক না হয়। এটি অ্যালকোহলমুক্ত। হালকা তেলের উপাদান দিয়ে বানানো বলে চুলকে রক্ষা করে রোদ, ধোঁয়া বা দূষণের কোপ থেকেও।
হেয়ার পারফিউম ব্যবহারের টিপ্স। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন হেয়ার পারফিউম?
চুল সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে দূর থেকে স্প্রে করুন। চুলের গোড়া এড়িয়ে মাঝামাঝি ও নীচের অংশে ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত নয়, অল্প ব্যবহার করুন। প্রতি দিন নয়, বিশেষ দিনে বা বাইরে যাওয়ার আগে মেখে নিন। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বা সিল্ক প্রোটিনের মতো কন্ডিশনিং এজেন্ট দিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
কেন জনপ্রিয় হচ্ছে হেয়ার পারফিউম?
১) সাধারণ পারফিউম ত্বকে প্রয়োগ করা হয়, কিন্তু চুলের পারফিউম সরাসরি চুলে লাগানো যায়। এতে ত্বকে জ্বালা করে না এবং সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
২) এতে থাকা উপাদান যেমন প্রাকৃতিক তেল, সিল্ক প্রোটিন বা ফুলের নির্যাস চুলের পুষ্টি বজায় রাখে।
৩) খাবার, ধোঁয়া বা রোদে-ঘামে চুলের দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
সতর্কতা
কেনার আগে সব সময়ে উপাদানের তালিকা পরীক্ষা করে নিতে হবে। সিন্থেটিক অ্যালকোহল বা সিলিকনযুক্ত ভারী উপাদান থাকলে সে পণ্য কিনবেন না। বেশি দিন এমন পণ্য ব্যবহার করলে এক একটি চুলের উপর আস্তরণ তৈরি হয়ে যাবে। তা থেকে চুলের বড় ক্ষতি হতে পারে।