কমোড পরিষ্কারের ব্রাশ কত দিন অন্তর পাল্টাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে ঘরবাড়ি পরিষ্কারের ধুম লেগে গিয়েছে গৃহস্থবাড়িতে। বাথরুমে কমোড থেকে বেসিন, রান্নাঘরের অভেন থেকে বাসনের তাক, ধুলো মুছে নতুনের মতো চকচক করছে চারদিক। অথচ ছোট ছোট জিনিসের থেকে এড়িয়ে যায় চোখ। প্রকৃত অর্থে পরিষ্কার করতে হলে স্নানঘর থেকে রান্নাঘর, শোয়ার ঘরের কয়েকটি জিনিসও বদলে ফেলা উচিত কিছু সময় অন্তর অন্তর। নয়তো অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে আপনার বাড়ি। আপাত ভাবে পরিষ্কার মনে হলেও বা ময়লা চোখে না পড়লেও সে সব স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাথরুমের পাপোস, বিছানার গদি, হেঁশেলের বাসনপত্র— এমন সমস্ত জিনিসের মেয়াদ এবং বদলানোর সময় নিয়ে জেনে নিন।
কমোডের ব্রাশ: কমোড পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করছেন নিয়মিত। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে জায়গা মতো রেখে দিচ্ছেন। ভাবছেন, ‘‘রাসায়নিক বা সাবানের ব্যবহারে আপনাআপনি পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। চিন্তা কী?’’ কিন্তু তাতে টয়লেট পরিষ্কারের ব্রাশ থেকে সমস্ত ময়লা দূর হয়ে যায় না। তাই স্নানঘরের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হলে ৮-১০ মাস অন্তর কমোড পরিষ্কারের ব্রাশ বদলে ফেলা উচিত।
স্নানের পাপোস: শাওয়ার বা বাথটব থেকে বেরিয়ে অনেকেই স্নানের ম্যাটে দাঁড়িয়ে গা মোছেন। তার ফলে গোটা স্নানঘর ভিজে গিয়ে জল থৈ থৈ করে না। কিন্তু স্নানের এই পাপোস একটানা আর্দ্র থাকতে থাকতে তাতে ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নিতে শুরু করে। তাই বছরে এক বার অন্তত স্নানের ম্যাট পাল্টে ফেলতে হবে।
স্নানের পাপোস। ছবি: সংগৃহীত।
বিছানার গদি: প্রতি আট বছর অন্তর বিছানার গকি বদলে ফেলুন। না হলে ধুলোময়লার পাশাপাশি তুলো দলা পাকিয়ে যেতে পারে। আর তাতেই সারা শরীরে ব্যথা, যন্ত্রণার সমস্যা শুরু হয়। এর ফলে বার বার ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটতে পারে।
বিছানার গদি। ছবি: সংগৃহীত।
গদির চাদর: বিছানার চাদরের তলায় বছরের পর বছর গদির রক্ষণাবেক্ষণ করে পাতলা চাদর। বেডশিটের কথা ভুলে যান অনেকেই। কিন্তু দু’বছর অন্তর বেডশিট পাল্টে নিন ঘরের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য।
নন-স্টিক বাসন: নন-স্টিক বাসনকোসনের মেয়াদ সাধারণত অনেক বেশি হয়। সাধারণত খুব ঘনঘন কোনও বাড়িতেই বাসনপত্র পাল্টানো হয় না। কিন্তু আস্তরণ খসে পড়তে শুরু করলেই এগুলি ফেলে দেওয়া উচিত। আস্তরণ খসে না পড়লেও পাঁচ বছরের বেশি এই বাসন ব্যবহার করা উচিত নয়।