— নিজস্ব চিত্র।
ভোজনরসিক বাঙালির মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল নিয়ে বিতর্কে কোনও খামতি নেই। অথচ এঁরাই পাতে এক সঙ্গেচান ইলিশ আর চিংড়ি। তখন তর্ক বাধে কোনটা বেশি সুস্বাদু!ভাপা ইলিশ? না কি আমের কুচি দিয়ে ঝোল।
বাঙালির এই খাদ্যরসিকতার কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগের উদ্যোগে গত বছর থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গীয় খাদ্যোৎসব। এ বছর সেই ‘আহারে বাংলা’-র উদ্বোধন হয়ে গেল শুক্রবার। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরীএবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মিলন মেলা প্রাঙ্গণে বিকেল থেকে খুলে দিলেন পাঁচ দিনের খাদ্যোৎসবের দরজা।
তবে পাত চেটেপুটে খাওয়ার এই তালিকায় বাঙালির সঙ্গে রয়েছেন ভিনদেশি পেটুকেরাও।
ভেটকির গন্ধে ম-ম করছে মেলা চত্বর। রয়েছে ধনেপাতা সহযোগে ছানার ডালনা, মেটে চচ্চরি, মাগুরের ঝাল, চিংড়ির মালাইকারি, পোলাও, রকমারি পিঠের মতো সাবেক রান্না। পাশাপাশি থাকছে শক্তিগড়ের ল্যাংচা, বহরমপুরের ছানাবড়া, বর্ধমানের মিহিদানা ও সীতাভোগ-সহ ভিনরাজ্যের খাবার। মিলবে রাশিয়ার কাবাব, চিনা লেবুর পাতাদিয়ে ভেটকি মাছ, সাদা-হলদে ভাতের মাঝে তুলতুলে মাংসের টুকরোয় বানানো কাচ্চিবিরিয়ানি-সহ জিভে জল আনা বিদেশি স্বাদও। সব মিলিয়ে তালিকায় রয়েছে সাড়ে পাঁচশো রকমের খাবার। যা চেখে দেখতে কেউ ধেয়ে যাচ্ছেন চিকেন র্যাপড প্রনের দিকে, কেউ চকোলেট-নারকেলে বানানো পরটার দিকে।
পাশাপাশি পাঁচ দিনের এই মেলায় থাকবে ‘থিম ফুড’উৎসবও। কোনও দিন জিভে জল আনবে ‘ডিম দুনিয়া’-র রসনা আবার কোনও দিন চলবে ‘মাছের মজলিস’। আমিষ, নিরামিষ সাবেক, আধুনিক ও ফিউশন রান্নায় জিভে জল আনবে ভোজনরসিকদের।
প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের এক আধিকারিক জানান, গত বছরের সাফল্য উৎসবের আয়োজনে বাড়তি উৎসাহ যুগিয়েছে। উৎসবের প্রথম দিনের ভিড় দেখে আয়োজকেরা আশা দেখছেন গত বারের সাফল্যকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার।