ধারণা: ডায়াবেটিকদের মিষ্টি খাওয়া সম্পূর্ণ বারণ। <br> সত্যি: কখনই নয়। নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে মিষ্টি সকলেই খেতে পারেন। ডায়াবেটিস না থাকলেও বেশি মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়।
ধারণা: ডাক্তার ইনসুলিন নিতে বলেছেন মানে রোগী যথেষ্ট নিয়ম মেনে চলেন না। <br> সত্যি: T2D রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে নিয়মিত ওষুধ খেলেও একটা সময়ের পর ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
ধারণা: ডায়াবেটিকরা কখনই রক্তদান করতে পারেন না। <br> সত্যি: শুধুমাত্র যারা ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেন তারা রক্তদান করতে পারেন না। বাকিদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে অবশ্যই রক্তদান করতে পারেন।
ধারণা: ডায়াবেটিস থাকলে কখনই ট্যাটু করানো যাবে না। সত্যি: যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ট্যাটু করালে ত্বকে ইনফেকশনের সম্ভাবনা কম।
ধারণা: ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস হবেই।<br> সত্যি: অনেক মোটা মানুষেরও ডায়াবেটিস হয় না। ওজনের সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক ইতিহাস ও অন্যান্য বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ।
ধারণা: ডায়াবেটিস ধরা পড়লে স্টার্চ জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে। <br> সত্যি: ডায়েটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্টার্চ। তাই কখনই ডায়েট থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া উচিত নয়। কম পরিমাণে অবশ্যই খান।
ধারণা: ডায়াবেটিকদের সব সময় নিয়ন্ত্রিত খাওয়া উচিত ও কম পরিশ্রম করা উচিত।<br> সত্যি: নিয়ম মেনে চললে ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিকরাও অন্যদের মতোই পরিশ্রম করতে পারেন।