সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন রেস্তরাঁর বিশেষ কিছু খাবার। ছবি: শাটারস্টক।
অসুখ এড়াতে ডায়েট করুন কিংবা শরীরচর্চা, মাঝেমধ্যে রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়াদাওয়ার নানা উপলক্ষ তার পরেও থেকেই যায়। ব্যক্তিগত কোনও অনুষ্ঠান হোক বা বন্ধু-আত্মীয়দের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো— রেস্তরাঁয় যাওয়ার কারণের অভাব নেই। এ দিকে ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া, সঙ্গে সুস্থ থাকার দায়ও রয়েছে। এই দুইয়ে মিলে রেস্তরাঁয় খাওয়া নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন।
এক দিকে যেমন রেস্তরাঁয় মাঝে মাঝে খেয়ে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়, অন্য দিকে তেমনই খারাপ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও কম নয়। এ দিকে রেস্তরাঁয় যাওয়াও সব সময় এড়ানো যায় না। তাই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় বইকি।
তবে বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চললে এবং তাদের বিকল্প অন্য কোনও খাবার অর্ডার করলে ওজন বাড়ার ভয় ও অসুস্থ হয়ে পড়া, দুই-ই এড়ানো যায়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে মেনে চলতেই পারেন সহজ ক’টা কৌশল। যেমন:
আরও পড়ুন: আধসেদ্ধ থেকে কাঁচা খাবার, বিশ্বসেরা এই রেস্তরাঁর মেনু চমকে দেবে
রেস্তরাঁয় অর্ডার করুন মিনারেল ওয়াটার।
রেস্তরাঁয় জল থেকে অনেক রকম অসুখ ছড়াতে পারে। তাই প্রথমেই সাধারণ জলের বদলে মিনারেল ওয়াটার অর্ডার করুন। তাতে বিলে অতিরিক্ত ক’টা টাকা গেলেও তা শরীরকে সুস্থ রাখবে। চেষ্টা করুন তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে বরং এমন কিছু অর্ডার করতে যা বানানোর প্রক্রিয়ায় তেল-মশলার প্রয়োগ কম। এতে আপনার পছন্দের বিকল্প হতে পারে তন্দুর বা তাওয়ায় সেঁকা কোনও খাবার। ওজন বাড়ার ভয় থাকলে চেষ্টা করুন স্যুপে ভরসা রাখতে। তেল-মশলার ব্যবহার কম এমন স্যুপের সঙ্গে নিতেই পারেন মাছ বা মাংসের গ্রিলড বা বেকড কোনও পদ। তা পেটও ভরাবে, শরীরও রক্ষা করবে। তবে এ ক্ষেত্রে সস ও চিজ দিতে বারণ করবেন। মাল্টিগ্রেন ব্রাউন ব্রেড বা ব্রাউন রাইস দিয়ে বানানো কোনও পদ খেতেই পারেন। তাতে শরীর প্রয়োজনীয় ফাইবারও পাবে, আবার ওজনও বাড়বে না। তবে মাল্টিগ্রেন ব্রেড অর্ডার করলেও এড়িয়ে যান ব্রেড বাস্কেট। কারণ, এতে থাকা বেশির ভাগ ব্রেডই নানা টেবিল ঘুরে আসে। তাই তাজা খাবার পাওয়ার সম্ভাবনা কম। বাফে নয়, আ লা কার্টেই ভরসা থাকুক। বাফেতে থাকা খাবারগুলি ক্রমাগত গরম হতে থাকে। বারবার গরম হওয়ায় এর খাদ্যগুণ প্রায় থাকে না বললেই চলে।
আরও পড়ুন: খাবারদাবার নিয়ে এ সব তথ্য আগে জানা ছিল?
অন্যের বাতিল করে দেওয়া ব্রেডও অনায়াসে ঢুকে যেতে পারে আপনার ব্রেড বাস্কেটে।
মকটেল বা ককটেল এড়িয়ে চলুন। অনেকেই রেস্তরাঁয় গিয়ে নানা রকম মকটেলের স্বাদ নিতে ভালবাসেন। কিন্তু এই মকটেলগুলিতে ব্যবহৃত ফল ও জলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। একান্তই তা খেতে হলে, হয় এমন কোনও রেস্তরাঁয় যান, যাদের খাবারের গুণমানের উপর ভরসা করা যায়, অথবা সোডা বেসড কোনও মকটেলের অর্ডার করুন, যাতে ফল বা দুধের মিশ্রণ এড়ানো যাবে। সামুদ্রিক মাছ বা হাড়-সমেত মাংস— যাই-ই অর্ডার করবেন, খাওয়ার আগে পরখ করে নিন তা সুসিদ্ধ কি না। কাঁচা মাংস ও সি ফুডে এমন কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়া থাকে, যা সংক্রমণ ঘটায় দ্রুত।
আরও পড়ুন: সুষম খাবারে সুঠাম শরীর
রেস্তরাঁয় মাঝেমধ্যেই সে দিনের জন্য স্পেশাল কোনও ডিশ বা অনেকটা ডিসকাউন্ট দেওয়া কোনও ডিশ মেনুতে রাখা থাকে। পারলে সে সব এড়িয়ে চলুন। এগুলোর বেশির ভাগই আগের দিনের কোনও ডিশের অনেকটা বেঁচে যাওয়া খাবারদাবার দিয়ে বানানো। বেশ কিছু রেস্তরাঁ এ ক্ষেত্রে ‘বেস্ট অফ দ্য ওয়েস্ট’ পলিসি মানে। তাই এ সব স্পেশাল ডিশ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। খাওয়ার আগে যাচাই করে নিন সব ধরনের খাবারই।
(শুরু হয়েছে আমাদের নতুন বিভাগ 'HELLO DOCTOR'। এ বারের বিষয় ‘ব্রণর সমস্যা’। এ বিষয়ে আপনার প্রশ্ন পাঠান query@abpdigital.in এই মেল আইডি তে। উত্তর দেবেন ত্বক বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষ।)