ফল দিয়ে ত্বকচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
শীত মানেই বাতাসে আর্দ্রতার অভাব। আর তার প্রভাব পড়ে হাতে, পায়ে, মুখে, এমনকি চুলেও। শীতের এই শুষ্কতা, রুক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করার হাতিয়ার কেবল সাজঘরে নয়, হেঁশেলেও রয়েছে। ৫টি ফলের গুণাবলি ত্বকের জেল্লা ফেরানোর জন্য কার্যকরী হতে পারে। নিয়মিত এই ফলগুলি খেলে নিস্তেজ, ম্লান ত্বক ধীরে ধীরে ঔজ্জ্বল্য ফিরে পেতে পারে। রইল সেই ফলগুলির উপকারিতা—
১. কমলালেবু: শীতের সময়ে শুষ্ক এবং নিস্তেজ ত্বকের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে কমলালেবুর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরি করে ত্বক টানটান রাখে। শীতকালে দূষণ এবং ফ্রি-র্যাডিক্যাল থেকে ত্বককে রক্ষা করে। গোটা একটি কমলালেবু শীতের ম্লান ভাব দূর করে ত্বকে জেল্লা আনবে। পাশাপাশি, ত্বকে জলশূন্যতার সমস্যা দেখা দিলে, তার সঙ্গে যুঝতে পারবে এই ফল।
কমলালেবু। ছবি: সংগৃহীত।
২. বেদানা: অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ফল ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে বাধা সৃষ্টি করে। রক্তপ্রবাহ উন্নত করে প্রাকৃতিক জেল্লা আনে মুখে। এই ফলের হাইড্রেটিং এবং প্রদাহনাশী গুণাবলি শীতের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।
৩. পেঁপে: পেঁপেতে উপস্থিত প্যাপাইন নামক এনজ়াইম ত্বকের মৃত কোষগুলিকে আলগা করে দিতে পারে। ফলে দ্রুত ত্বক থেকে ঝরে পড়ে ত্বককে কোমল করে তোলে। এতে ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে, যা ত্বকের মেরামতিতে কাজে লাগে।
৪. পেয়ারা: কমলালেবুর চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে পেয়ারায়। ত্বকে জেল্লা ফেরাতে এবং শীতের শুষ্কতার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের। শীতকালে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে বলে চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপও কম পড়ে। পেয়ারায় উপস্থিত লাইকোপিন যৌগ ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ কমায় এবং সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
পেয়ারা। ছবি: সংগৃহীত।
৫. আনারস: ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ব্রোমেলেন এনজ়াইমে পরিপূর্ণ ফল প্রদাহ নাশ করার জন্য খুবই কার্যকরী। ত্বকে জেল্লা ফেরানো থেকে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রয়েছে এই ফলের।