‘সইয়ারা কুর্তি’ পরার হিড়িক নতুন প্রজন্মের মধ্যে। ছবি: সংগৃহীত।
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ মুক্তির পর ছবির নামে হেয়ারব্যান্ড বিক্রি শুরু হয়েছিল। কাজলের কেশসজ্জার অনুকরণ করার হিড়িক পড়েছিল তখন। একই ভাবে ‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবিতে জেনেলিয়া ডি’সুজ়ার মতো চুলে সিঁথি কেটে অল্প গোছের দিকে ক্লিপ লাগাতে দেখা যায় কিশোরী ও তরুণীদের। যে ভাবে ‘হ্যারি পটার’ চশমা আজও জনপ্রিয় চশমার বাজারে, সে ভাবেই ফ্যাশনজগতে এল ‘সইয়ারা কুর্তি’।
বক্স অফিসে এখনও ঝড়ের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে মোহিত সুরির ‘সইয়ারা’। সেই ছবির নায়িকা অনীত পড্ডার ‘বাণী’ চরিত্রটি এখন নতুন প্রজন্মের কাছে ‘ফ্যাশন আইকন’ বললে অত্যুক্তি হয় না। তা সে হাতকাটা কুর্তি হোক বা প্যাস্টেল গোলাপি রঙের বিয়ের শাড়িই হোক। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে, যেখানে ‘সইয়ারা স্পেশ্যাল কুর্তি’ বিক্রি হচ্ছে তরুণীদের জন্য। হালকা সুতির, হাঁটু পর্যন্ত বা হাঁটু থেকে সামান্য উপর পর্যন্ত নেমে আসা কুর্তি এখন সে শহরে ব্যাপক জনপ্রিয় হচ্ছে। জিন্সের সঙ্গে এই কুর্তি পরছেন অনেকে। বর্ষা, ভ্যাপসা গরম, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় এই পোশাক বেশ আরামদায়কও একই সঙ্গে।
প্যাস্টেল গোলাপি রঙের বিয়ের শাড়িতে অনীত পড্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
অনীত পড্ডার চরিত্রের পোশাক। ছবি: সংগৃহীত।
রাঁচিতে ‘সইয়ারা কুর্তি’ পাওয়া যাচ্ছে সবুজ, কালো, নীল বা সাদা রঙের। দেহের সব রকম আকারের জন্যই বানানো হচ্ছে এই পোশাক। ৭০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দাম এই কুর্তিগুলির।
অনীতের পরনে সেই হাতকাটা কুর্তি। ছবি: সংগৃহীত।
পর্দার ‘বাণী’র সাধারণ হালকা পোশাকের পাশাপাশি পর্দার বাইরের অনীতের কেতাদুরস্ত সাজ নিয়েও আগ্রহ তৈরি হয়েছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। কখনও তাঁর সাটিন কালো ড্রেস নজর কাড়ছে, কখনও বা সাদামাঠা অথচ অভিজাত সাদা ফিতে বাঁধা লং ড্রেস, আবার কখনও সাদা রঙের ক্রপ টপ আর প্যান্টের যুগলবন্দি দেখে তেমনই পোশাক কিনতে চাইছেন কিশোরী থেকে তরুণীরা। পর্দা হোক বা পর্দার বাইরে, ২২ বছরের নায়িকার ফ্যাশনের দিকে চোখ রাখলে বোঝা যাবে, বাহুল্যবর্জিত সাজই পছন্দ তাঁর। শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে, হাওয়ায় ভাসানো পোশাকের প্রতিই আকর্ষণ বেশি অনীতের। আর তাঁর এই সাজেই অনুপ্রাণিত হচ্ছে ‘জেনারেশন জ়েড’।