CIMA Gallery

উঠতি মডেল থেকে তারকা, রুক্মিণীর নানা অধ্যায়ের সাক্ষী, পুজোতেও তাঁর সাজকাহনে সিমা গ্যালারি

দুর্গাপুজোয় আপামর বাঙালি নারীর পথেই হাঁটছেন রুক্মিণী। আর তাই কিনছেন শাড়ি। পৌঁছে গিয়েছেন বালিগঞ্জের সিমা গ্যালারির ‘আর্ট ইন লাইফ’ প্রদর্শনীতে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৯
Share:
০১ ১৫

‘‘ধীরে ধীরে মায়ের মতোই হয়ে যাচ্ছি। পুজোর আগেই সেটা বেশি টের পাই!’’ যে মেয়ে সারা বছর জিন্স-শার্ট বা টি-শার্টেই বেশি স্বচ্ছন্দ, তাঁর আলমারিতে একটু একটু করে শাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। গত দু’বছর ধরে মায়ের আলমারির সৌন্দর্য রুক্মিণী মৈত্রের চোখে ধরা পড়ছে। এত দিন মায়ের প্রতি তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘‘মা, তুমি তো কেজি দরে শাড়ি কেনো!’’ প্রতি সপ্তাহে নাকি ৩টি করে শাড়ি কিনতে ভালবাসেন নায়িকার মা মধুমিতা মৈত্র। মায়ের এই অভ্যাস পছন্দ ছিল না রুক্মিণীর। কিন্তু সেই মেয়ে এখন পুজোয় শাড়ি কেনেন।

০২ ১৫

দুর্গাপুজোয় আপামর বাঙালি নারীর পথেই হাঁটছেন রুক্মিণী। আর তাই শাড়ি কিনতে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন বালিগঞ্জের সিমা গ্যালারিতে। সেখানে শুরু হচ্ছে ‘আর্ট ইন লাইফ’। পুজোর কেনাকাটার জন্য এমন প্রদর্শনীই পছন্দ টলিউডের অভিনেত্রীর। একটি প্রদর্শনীতে সব রকম জিনিসের সম্ভার। শাড়ি, ব্যাগ, গয়না, লং জ্যাকেট, গৃহসজ্জার উপকরণ, আরও কত কী!

Advertisement
০৩ ১৫

সিমা আর্ট গ্যালারির অধিকর্তা রাখী সরকার নিজেই প্রদর্শনী ঘুরিয়ে দেখালেন অভিনেত্রীকে। এ দেশের বিভিন্ন প্রদেশের শিল্পীর তৈরি শাড়ির সম্ভার রয়েছে সেখানে। কর্নাটকের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শাড়ি থেকে শুরু করে নামী শিল্পীদের তৈরি স্কার্ফ, সবই পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়াও রয়েছে ঘর সাজানোর নানাবিধ সামগ্রী।

০৪ ১৫

অভিনেত্রী প্রথমেই বেছে নিলেন একটি শাড়ি। সাদার উপর লাল চেক কাটা। দুর্গাপুজোর বৈগ্রহিক রংমিলন্তি। সাদা এবং লাল। তবে এই শাড়ির চেকগুলিতেই রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। একটি শাড়িতেই সব রকমের চেক দেখা যাবে। উপরন্তু দামও বেশ কম রাখা হয়েছে। যাতে সব শ্রেণির মানুষ এই পুজোয় ‘সিমা’র শাড়ি পরতে পারেন।

০৫ ১৫

হালকা সুতির শাড়ির সঙ্গে ডিজ়াইনার পরমা গঙ্গোপাধ্যায়ের লাল ব্লাউজ় পরলেন রুক্মিণী। অষ্টমীর সকালে এমন সাজ বেশ মানানসই বলে মনে করছেন নায়িকা। কানের ঝোলা দুল, হাতের মোটা বালা। চোখে ছোট্ট লাল টিপ।

০৬ ১৫

তবে উৎসবেই যে ছক ভেঙে আনন্দ! আর তাই রুক্মিণীর মতো কেতাদুরস্ত নতুন প্রজন্মের নায়িকার যে ‘বোবো ক্যালকাটা’ শাড়ি ও ব্লাউজ়ের প্রতি চোখ যাবে, তা বলাই বাহুল্য। অপ্রচলিত নকশা ও রঙের ছকভাঙা খেলায় ডিজ়াইনার বোবোর শেল্পিক ছোঁয়া। আর সেই সাজেই নজর কাড়লেন রুক্মিণী। নবমীতে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টির জন্য এমন সাজের পরিকল্পনা শুরু নায়িকার।

০৭ ১৫

সাবেক ও সাম্প্রতিকের যুগলবন্দি দশমীতে। কারুস্তুতির একরঙা শাড়ি ও পরমার লাল ব্লাউজ়ে চোখধাঁধানো সাজ অভিনেত্রীর। পুজোর শেষ দিনের সাজে থাকুক আভিজাত্য। সঙ্গে চোকার ও মোটা বালায় সাজ সম্পূর্ণ হল।

০৮ ১৫

মায়ের মতো এখনও শাড়ির বাছাইয়ে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়নি রুক্মিণীর। তবে একরঙা শাড়ি কিনলে নাকি বিপদ কম— এমনই টোটকা শিখে নিয়েছেন অভিনেত্রী। যা-ই হয়ে যাক, সাজ নিয়ে অপ্রস্তুত হওয়ার ঝুঁকি নাকি কম থাকে।

০৯ ১৫

তবে পুজোর অন্যান্য দিনের সাজে পাশ্চাত্য ছোঁয়া থাকলে খুশিই হবেন নায়িকা। লং জিন্সের সঙ্গে টপ বা কুর্তি পরে এখনও বেশি স্বচ্ছন্দ রুক্মিণী। পোশাক কিনতে গেলে পুরুষদের জন্য রাখা জামাকাপড়ে বেশি নজর যায় অভিনেত্রীর। ‘‘আমার সব জ্যাকেট, ওভারসাইজ়ড জামাকাপড় কেনা হয়েছে পুরুষদের সেকশন থেকে। ওদের সেকশনের সবচেয়ে ছোট সাইজ়ের জামা পরি আমি। বিদেশে গেলেও এ ভাবেই শপিং করতে পছন্দ করি,’’ বললেন অভিনেত্রী।

১০ ১৫

রুক্মিণী বলছেন, ‘‘এক বার দেবের আলমারি থেকে সেরা সাজটা সেজেছিলাম আমি। ‘টেক্কা’ ছবির একটা শুটে আমি গোলাপি একটা স্যুট পরেছিলাম। ছোট করে কাটা চুল, তার সঙ্গে মানানসই সঠিক ফিটের একটা স্যুটের প্রয়োজন ছিল। মেয়েদের জন্য এই ফিটের জামা কেউ বানায় না। হঠাৎই মনে হল, দেবের গোলাপি স্যুট আমাকে ভাল মানাতে পারে।’’

১১ ১৫

দেবকে ফোন করে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আলমারিতে তল্লাশি চালানোর হুমকি দেন রুক্মিণী। যেমন কথা, তেমন কাজ। দেবের স্যুট পরেই সেই শ্যুটটা করেছিলেন নায়িকা। সাজ থেকে দেবও বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, ‘‘তোমায় তো আমার থেকে বেশি ভাল মানিয়েছে এই পোশাকে।’’ আর তাই অনুরাগীদের প্রতি রুক্মিণীর পরামর্শ, পুজোয় যদি অন্যরকম সাজতে চান, তা হলে প্রেমিকের আলমারির উপরও নজর রাখতে হবে।

১২ ১৫

রুক্মিণীর কথায়, ‘‘সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস রেখে প্রেমিকের আলমারিতে তল্লাশি চালান। তাঁর ঢিলেঢালা কুর্তার সঙ্গে ছেঁড়া গা-চাপা জিন্স পরে সেজে দেখুন। হাতে মোটা বালা পরে নিন কয়েকটা। সঙ্গে স্নিকার্স। সুপারহিট হয়ে যাবে এই সাজ।’’

১৩ ১৫

টুকিটাকির ফর্দে কেতাদুরস্ত ছাতা কেনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। পুজোতেও যদি বৃষ্টি হয়, তা হলে সাজের সঙ্গে যেন রক্ষাকর্তাও বেশ কেতাদুরস্ত হয়। নায়িকার পরামর্শ, ‘‘আমি হিল জুতো পরতে পছন্দ করি ঠিকই, কিন্তু গাড়িতে একজোড়া মোজরী বা ফ্লিপ ফ্লপ রাখা থাকে। যাতে বেশি ক্ষণ হিল পরে পা ব্যথা না হয়।’’

১৪ ১৫

যে রুক্মিণী ঘুমোতে যাওয়ার আগেও সুগন্ধি ছিটিয়ে নেন, তিনি যে পুজোর শপিংয়ে পারফিউমের জন্য টাকা বরাদ্দ রাখবেন, তা তো জানাই কথা। এসেনশিয়াল অয়েল থেকে পারফিউম— সুগন্ধেই চিনতে চান তিনি নিজেকে।

১৫ ১৫

‘সিমা’ থেকে কেনাকাটা সেরে বেরোনোর সময়ে রুক্মিণীর মনে পড়ে যায়, প্রথম প্রথম যখন মডেল হিসেবে কাজ শুরু করেন, এই গ্যালারিতেই একটি শুট করেছিলেন তিনি। এখন তিনি তারকা। কিন্তু আমন্ত্রণ, আপ্যায়নে কোথাও ভেদাভেদ নেই। এখনও তেমন উষ্ণতার ছোঁয়া পেয়ে আপ্লুত নায়িকা রুক্মিণী।

পোশাক: সিমা গ্যালারি, কারুস্তুতি, পরমা এবং বোবো ক্যালকাটা, রূপটান এবং কেশসজ্জা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, সাজশিল্পী: সুমিত সিংহ, চিত্রগ্রাহক: দেবর্ষি সরকার, গয়না: সিমা গ্যালারি এবং রানওয়ে হিট, স্থান: সিমা আর্ট গ্যালারি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement