অ্যালো ভেরার রস না কি জেল কোনটি চুলের জন্য ভাল? মাখবেন কোনটি? ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে শুধু সিরাম, কন্ডিশনার মাখাই যথেষ্ট নয়, দরকার মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষা। চুল কতটা মজবুত হবে, বাড়-বৃদ্ধির নেপথ্যে থাকে মাথার ত্বকই। সেখানে সংক্রমণ হলে যেমন চুল ঝরবে, তেমনই চুল ঝরা বন্ধ করতে পুষ্টির জোগান দরকার মাথার ত্বকেই।
এই কাজে সাহায্য করতে পারে অ্যালো ভেরা। ‘ঘৃতকুমারী’ নামে পরিচিত গাছটি ভেষজ গুণে ভরপুর। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অনেকে অ্যালো ভেরার রস খান। চুলের জন্যও অ্যালো ভেরা অত্যন্ত উপকারী। চুলে জেল্লা আনা থেকে খুশকি, অ্যালো ভেরার গুণেই দূরে চলে যায় নানা সমস্যা।
অ্যালো ভেরায় কী এমন রয়েছে?
· আ্যলো ভেরায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। যা মাথার ত্বকে নতুন ফলিকল তৈরিতে সাহায্য করে।
· চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে ফলিক অ্যাসিড। এই ভেষজের মধ্যে সেই খনিজ রয়েছে।
· মাথার ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে অ্যালো ভেরায় থাকা উপাদান।
চুলের জন্য অ্যালো ভেরা যে উপকারী, তা অনেকেই জানেন। তবে, জেল না কি রস— কী ভাবে ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে পুষ্টি বেশি মিলবে?
অ্যালো ভেরা জেল
অ্যালো ভেরার পাতা কাটলে ভিতরে শাঁসের মতো অংশ থাকে। সেটিকেই জেল হিসাবে ব্যবহার করেন অনেকে।তবে চিকিৎসকেরা বলেন, সরাসরি গাছের পাতার শাঁস কারও কারও মাথার ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভাল মানের বাজারচলতি অ্যালো ভেরা জেল মাথা যেতে পারে। কারণ, সেটি নানা রকম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়।
অ্যালো ভেরায় রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। ফলে মাথার ত্বকে জ্বালা, চুলকানির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পরিষ্কার মাথায় তা মাসাজ করতে হবে। চুল মসৃণ, নরম করতে সাহায্য করবে উপাদানটি।
অ্যালো ভেরা রস
অ্যালো ভেরার রসও শরীর ভাল রাখতে খাওয়া হয়। জেল কিছুটা ঘন তবে, রস পাতলা। অ্যালো ভেরা রসের সঙ্গে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। চুলে শ্যাম্পু করার পর তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছে চিরুনির সাহায্যে সিঁথি কেটে চুলের গোড়ায় রসটি স্প্রে করুন। হালকা মাসাজ করে ধুয়ে নিন।
জেল না রস কোনটি বেশি ভাল?
অ্যালো ভেরার রস যেহেতু পাতলা, তাই মাথার ত্বক তা সহজে শুষে নিতে পারে। বিশেষত গরমের দিনে এটি ব্যবহার করা ভাল। তবে যদি চুলের মাস্ক ব্যবহার করতে হয় তখন দরকার অ্যালো ভেরা জেল। অতিরিক্ত রুক্ষ চুল, ডগা ফাটার সমস্যায় জেল ব্যবহার করতে পারেন। শীতের দিনেও এটি মাসাজ করলে রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর হবে।