কোলাজেনেই লুকিয়ে সৌন্দর্যের চাবিকাঠি? এমন ভাবনা কি সঠিক? ছবি: সংগৃহীত।
প্রসাধনী থেকে বিজ্ঞাপনী প্রচারে উঠে আসে কোলাজেনের কথা। বছর কয়েক আগেও যে নাম অনেকেই শোনেননি— এখন রূপচর্চায় তা নিয়েই চর্চা। কোলাজেন হল ত্বকের জন্য জরুরি অন্যতম একটি প্রোটিন। বয়স হলে, সেই প্রোটিনের মাত্রা হ্রাস পেতে থাকে। আর সেই কারণেই কুঁচকে যায় ত্বক, দেখা দেয় বলিরেখা।
সেই তথ্য জানার পরেই বয়স থাকতে থাকতে রূপ সচেতন মানুষজন কোলাজেনের উৎপাদন সঠিক রাখতে সচেষ্ট। আর তা যাতে ঠিক থাকে, সেই কারণেই বিভিন্ন প্রসাধনীর প্রচারেও স্থান পাচ্ছে কোলাজেন। এই যে কোলাজেন নিয়ে এত মাতামাতি, রূপচর্চায় তার পৃথক স্থান— এটি কি সত্যিই এতটা গুরুত্বপূর্ণ। সমাজমাধ্যমে কোলাজেন নিয়ে যা কিছু প্রচলিত ধারণা, তার সবটাই কি সঠিক?
কোলাজেন শ্রেষ্ঠ সাপ্লিমেন্ট : সৌন্দর্যের শেষকথা কোলাজেন। প্রসাধনীতে কোলাজেন বৃদ্ধির উপকরণ থাকলেই ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং টানটান— এমনই বেশ কিছু ধারণা রয়েছে অনেকের মনে। কোলাজেন যে ত্বকের জন্য জরুরি উপাদান, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে প্রসাধনীর ব্যবহারে কোলাজেনের মাত্রা ঠিক থাকবে, সেটাও সঠিক নয়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন কমতে থাকে। শরীরচর্চা, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া— এমন অনেক শর্তই কোলাজেনের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য জরুরি।
সৌন্দর্য ধরে রাখে কোলাজেন: তারুণ্যের চাবিকাঠি হল কোলাজেন, এমন ধারণাও রয়েছে অনেকের মনে। কথাটা সম্পূর্ণ ভুল নয়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে, টানটান ভাব বজায় রাখতে কোলাজেন জরুরি। তবে শত চেষ্টা করেও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা সম্পূর্ণ মাত্রায় ধরে রাখা যায় না। বয়স বাড়লে তার ছাপ পড়বেই।
কোলাজেন বয়সকালেই দরকার: কোলাজেনের মাত্রা যেহেতু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে, তাই বয়স বাড়লে তখনই কোলাজেন নিয়ে ভাবনা শুরু হয়। তার বদলে ৩০ বছরের পর থেকেই যদি ডায়েটে কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার রাখা যায়, তালিকায় থাকে মাছ, মাংস, ডিম, মুরগির স্ট্যু, গাজর, বেরি জাতীয় ফল, বাদাম— তা হলে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা সহজ হয়। ত্বকের ক্ষতি হওয়ার পরে যত্ন নেওয়ার চেয়ে, আগে থেকে যত্নশীল হওয়াই ভাল।