কেন কমছে না ব্রণর সমস্যা? ছবি: সংগৃহীত।
বন্ধুর বিয়ের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, অথচ মুখ ভরে আছে ব্রণতে। বিরক্ত তো লাগারই কথা। এই সময়ে সাজবেন, ছবি তুলবেন, অথচ তার আগেই এ কী বিপত্তি! তবে ত্বক তৈলাক্ত হলে ব্রণর প্রবণতা থাকেই। তার উপর যদি এর সঙ্গে দোসর হয় ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা, তা হলে বেশ মুশকিল। সব মিলিয়ে এই ব্রণর প্রবণতা বিয়েবাড়ির সাজটা মাটি করে দিতে পারে এই আশঙ্কা করছেন? কেবল পরিচর্যা করলে হবে না, ব্রণ হলে কোনটা করা দরকার, কোনটা নয়, সেটাও জানা দরকার।
১) দিন দু’বার মৃদু কোনও ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া প্রয়োজন। সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়। ত্বক তেলতেলে হলে ময়লা সহজেই জমে যায়। ত্বক পরিষ্কার না হলে সংক্রমণের ভয় থাকে। নিয়মিত ফেস ওয়াশ ব্যবহার তাই ভীষণ জরুরি। যত ক্লান্তই থাকুক না কেন, রাতে মুখ না ধুয়ে শুতে যাবেন না।
২) মানসিক সমস্যার জেরে হজমের সমস্যা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ব্রণের কারণ হতে পারে। মানসিক উদ্বেগ, দুশ্চিন্তার ছাপ চোখেমুখে পড়ে। প্রাণায়ম, শরীরচর্চায় কিছুটা হলেও মানসিক উদ্বেগ বশে রাখা যায়। শরীরচর্চায় রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এর প্রভাবও ত্বকে পড়ে। এ ছাড়া শরীরে বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ হয়। তার বিভিন্ন ভূমিকা থাকে। হরমোনের মাত্রার তারতম্য হলেও ব্রণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্য কেন নষ্ট হয়েছে তার কারণ খুঁজে, সমস্যার সমাধান দরকার।
৩) প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাটের মাত্রার সামঞ্জস্য থাকা প্রয়োজন শরীর ভাল রাখতে। পাশাপাশি ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ ফল, সব্জি ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।ব্রণের সমস্যা দূর করতে পুষ্টিকর খাবারও জরুরি।
৪) অনেকেরই বার বার ব্রণতে হাত চলে যায়। অনেকে ব্রণ খুঁটে ফেলেন। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। সংক্রমণ হয়ে গেলে তা থেকে সেই জায়গায় দাগ, গর্ত তৈরি হয়। এই অভ্যাসটি তাই মনে করে বাদ দেওয়া প্রয়োজন।
৫) মুখ মোছার তোয়ালে না কেচে, শুকিয়ে ব্যবহার করলেও তা থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। ব্রণের সমস্যা থাক বা না থাক, সব সময় কাচা তোয়ালে দিয়ে মুখ, শরীর মোছা উচিত।