Glass Like Skin Care

ভাতের ফ্যান ও এক চামচ দানা! বিস্তর খরচ না করেই পেয়ে যান কোরিয়ানদের মতো ঝকঝকে ত্বক

‘কোরিয়ান গ্লাস স্কিন’ পেতে ৭ থেকে ১০ ধাপে ত্বকচর্চা করে হাজার হাজার টাকা খরচ করেন অনেকে। কিন্তু নামমাত্র খরচে যদি এমনই চকচকে ত্বক পেয়ে যান?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৫ ১৪:১৪
Share:

কোরিয়ানদের মতো ঝকঝকে ত্বক পাবেন কী ভাবে

কোরিয়ার মহিলাদের ত্বকচর্চার রুটিনের নকল চলছে সারা বিশ্বে। ‘কোরিয়ান গ্লাস স্কিন’ (কাচের মতো ঝকঝকে ত্বক) পাওয়া যাচ্ছে শহর থেকে শহরতলির বিউটি পার্লারগুলিতে। আর তার খরচ নেহাত কম নয়। ৭ থেকে ১০ ধাপে ত্বকচর্চা করে হাজার হাজার টাকা খরচ করেন অনেকে। কিন্তু নামমাত্র খরচে যদি এমনই ঝকঝকে ত্বক পেয়ে যান? বেশি কিছু করতে হবে না। কেবল একটি টোনার বানিয়ে নিতে হবে ঘরে। আশ্চর্য ফলাফল দেখতে পাবেন নিজের ত্বকে।

Advertisement

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, প্রদাহনাশী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর এই টোনার। রাতে ঘুমনোর আগে মেখে নিলে রাতভর নিজের কাজ করে টোনারটি। সকালে উঠে টানটান, উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন।

ভাতের ফ্যান বা স্টার্চ এবং মেথির দানা ব্যবহার করেই ‘কোরিয়ান গ্লাস স্কিন’ পেয়ে যেতে পারেন।

কী কী প্রয়োজন এই টোনার বানাতে?

Advertisement

কেবল ভাতের ফ্যান বা স্টার্চ এবং মেথির দানা। ব্যস, এই দু’টি জিনিস ব্যবহার করেই ‘কোরিয়ান গ্লাস স্কিন’ পেয়ে যেতে পারেন। আর টোনার বানাতে সময় লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট।

রাইস ওয়াটার: এশিয়ার রূপচর্চার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী হল, রাইস ওয়াটার বা ভাতের ফ্যান। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি১, বি২, ই এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ এটি। স্টার্চের কারণে বোটক্স ছাড়াই প্রাকৃতিক ভাবে ত্বককে টানটান করে তুলতে পারে এটি। অ্যালকোহল, প্যারাবিন বা সুগন্ধি থাকে না বলে যে কোনও ত্বকের জন্যই উপযুক্ত এটি।

মেথি: প্রদাহবিরোধী এবং জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে মেথিতে। ব্রণ, শুষ্কতা, লালচে ভাব, এমনকি এগজ়িমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এটি। এতে ডায়োসজেনিন থাকে, যা একটি প্রাকৃতিক ফাইটোইস্ট্রোজেন। এটি নতুন কোষ তৈরি হতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে স্বাভাবিক ভাবে উজ্জ্বলতা আসে।

কী ভাবে বানাবেন এই টোনার?

উপকরণ

১ টেবিল চামচ চাল

১ টেবিল চামচ মেথি বীজ

১৫০ মিলিলিটার জল

একটি পরিষ্কার স্প্রে বোতল

প্রক্রিয়া

একটি ছোট পাত্রে জল ফুটিয়ে নিন। তাতে চাল এবং মেথি বীজ ঢেলে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে ফোটান, যত ক্ষণ না দুধের মতো সাদা হয়ে যায়। তার পর গ্যাস থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। শেষে একটি পরিষ্কার স্প্রে বোতলে ঢেলে পাঁচ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। পাঁচ দিন ধরে ধীরে ধীরে ব্যবহার করুন টোনার হিসেবে।

কখন এবং কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

রাতের বেলা মুখ পরিষ্কার করে নিয়ে টোনার স্প্রে করে নিন মুখে। ঘষা উচিত নয়। মুখের ত্বকে ধীরে ধীরে তরলটি বসে যাবে। সারা রাত ধরে টোনারটি কাজ করবে। সকালেই তার উপকারিতা টের পাবেন নিজের ত্বকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement