রোজ়মেরি দিয়ে কী ভাবে শ্যাম্পু বানাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
চুল পড়ার সমস্যা যেন দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে মাথার সামনের দিকে চুল ঝরছে সবচেয়ে বেশি। আঁচড়াতে গেলেই বোঝা যাচ্ছে মাথার সামনের দিকে বেশ বড়সড়ই একটা টাক পড়ছে। মহিলা হোক বা পুরুষ, চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে জেরবার সকলেই। প্রতি দিন ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু কোনও কারণে যদি চুল ঝরে পড়ার মাত্রা তার চেয়ে বেশি হয় বা ঝরে প়ড়া চুলের জায়গায় নতুন চুল যদি না গজায়, তখনই তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময়েই দেখা যায় নামী ব্র্যান্ডের তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করেও কাজ হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে কী করণীয় জেনে রাখা ভাল।
রোজ়মেরি দিয়ে চুল ধুলে, সাত দিনের মধ্যেই চুল পড়া বন্ধ হতে পারে। রোজ়মেরি নামক গাছের ফুল ও পাতা থেকে তেল, শ্যাম্পু তৈরি হয়। এই ভেষজটি অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগে ভরপুর। যা মাথার ত্বকে যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। রোজ়মেরি নিয়মিত ব্যবহার করলে, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে চুলের গোড়া শক্তপোক্ত হয়। চুল পড়ার সমস্যাও দূর হয়।
চুল পড়ে টাক হওয়ার অন্যতম কারণ হল ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন (ডিএইচটি) নামে একপ্রকার হরমোন। এই হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে তখন চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল ঝরতে শুরু করে। রোজ়মেরি ব্যবহার করলে এই হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। উল্টে চুলের গোড়ায় অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ে যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
রোজ়মেরি শ্যাম্পু কী ভাবে তৈরি করবেন?
দু'কাপ জল ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ২-৩ মিনিট ফোটানের পরে তাতে রোজ়মেরি পাতা দিয়ে আবার ফোটাতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ফোটানোর পরে জলের রং বদলে যাবে। রোজ়মেরির নির্যাস জলে মিশে যাওয়ার পরে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে।
মিশ্রণটি ঠান্ডা করে শিশিতে ভরে রাখুন। নিয়মিত এই নির্যাস দিয়ে চুল ধুলে চুলের গোড়া মজবুত হবে। চুলের ঘনত্বও বাড়বে। চুল পড়া বন্ধ হবে।
গাছের পাতা জলে ফুটিয়েও মাথার ত্বকে তা মেখে রাখা যেতে পারে। তবে অনেকেরই এই নির্যাস থেকে ত্বকে অ্যালার্জি বা অস্বস্তি হতে পারে। তাই সরাসরি রোজ়মেরি অয়েল ব্যবহার করার আগে সতর্ক হতে হবে।